কাপ্তাইয়ে চন্দ্রঘোনা ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ উদ্যোগের বার্ষিক বনভোজন২০২১

 

রিপন মারমা কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি): রাঙ্গামাটি কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা ব্যাপ্টিষ্ট চার্ট উদ্যোগের ভালবাসা দিবসে বার্ষিক (বনভোজন) করা হয়। আমরা সকলে বর্তমানে যে যার জীবনে অত্যন্ত ব্যস্ত। অন্য কারোর জন্য তো দূর কখনও কখনও আমরা নিজেদের জন্যই সময় বার করে উঠতে পারি না। কিন্তু শুধুমাত্র প্রতিদিনের ব্যস্ততা জীবনকে ঘিরে থাকলে মানুষের জীবন নিরস হয়ে উঠতে পারে। আর একটি নিরস জীবনে গতিময়তা থাকলেও প্রাণবন্ততা থাকেনা। সেই প্রাণহীন জীবনে রোজকার ইঁদুর দৌড়ে মানুষ নিজেকে অন্ধকারের অতলে হারিয়ে ফেলে।

সে কারণেই মাঝে মাঝে এই চূড়ান্ত ব্যস্ততা থেকে মুহূর্তের বিরতি নিয়ে প্রয়োজন নিজেকে সময় দেওয়ার এবং বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন সকলের সাথে সময় কাটানোর। এর দ্বারা মানুষের মন যেমন শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা পায়, তেমনি সমাজে স্বাভাবিক সামাজিক বন্ধন বজায় থাকে।

চন্দ্রঘোনা ব্যাপ্টিষ্ট চার্ট সভাপতি বিপ্লব মারমা জানান, আজকাল বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দীর্ঘ সময়ের জন্য মানুষের পক্ষে ব্যস্ততা থেকে অবসর নেওয়া সম্ভব হয় না। কবে যে স্বল্প সময়ের অবসর গ্রহণ আমাদের পক্ষে সম্ভব হয় তারমধ্যে সকলের সঙ্গে একসাথে মিলে আনন্দ করার জন্য বনভোজনের থেকে উপযোগী আর কিইবা হতে পারে।

খ্রিষ্টিয়ান হাসপাতালে স্টাফ বিজয় মারমা বলেন, সাধারণভাবে দেখতে গেলে বনভোজনের অর্থ হলো বনে গিয়ে ভোজন। আসলে আগেকার দিনে রোজকার ব্যস্ত জীবন থেকে একদিন ছুটি নিয়ে বনে গিয়ে সবাই মিলে একসাথে আনন্দ করে রান্না করে খাওয়ার নামই ছিল বনভোজন।

বর্তমানে বনে গিয়ে ভোজন করার রীতি বদলালেও বনভোজনের নাম, চরিত্র ও তাৎপর্য একেবারেই বদলায়নি। একথা সত্য যে জীবনের ব্যস্ততা থেকে প্রাণের নির্যাস খুঁজে নেওয়ার সব থেকে উপযোগী উপায় হলো ভ্রমণে যাওয়া।

কিন্তু মাত্র একদিনের জন্য পাওয়া অবসরে কাঙ্খিত ভ্রমণ সম্ভব নয়। সেই কারণে সকলে মিলে আসকে কর্ণফুলী নদীর পারে প্রকৃতি হাওয়া প্রকৃতির মনোরম পরিবেশ জায়গাতে গিয়ে বনভোজন ব্যাবস্থা করেছি।আর এক সময়ে ছুটি থাকলে বাইরে কোথাও গিয়ে আনন্দের নির্যাস খুঁজে নিলে তাও ব্যস্ত জীবনের চিরাচরিত একঘেয়েমি কাটানোর জন্য সমানভাবে উপযোগী হতে পারে। সকলের সাথে একদিন একসঙ্গে মিলন এক্ষেত্রে যেমন সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে অন্যদিকে চেনা পৃথিবীর বাইরে একদিনের হাওয়া বদল মনকে তরতাজা করে তোলে।