আমার বাংলা টিভি ডেস্ক: প্রধান অতিথি বক্তব্যে শামসুল আলম বলেন, নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করে ষড়যন্ত্র চলবে না নির্বাচন এর মাঝখানে কেউ এসে খেলাধুলা করে লাভ হবে না, কেউ এসে খেলাধুলা করবেন, ভোট পিছিয়ে দিবেন, বিলম্বিত করবেন, অন্য ষড়যন্ত্র করে ওই শেখ হাসিনা একভাবে স্বৈরাচার, আপনারা অন্যভাবে এসব করে লাভ হবে না। তাই আগে থেকে জনগণের দেওয়ালের লিখন পড়তে শিখুন। শেখ হাসিনা জনগণের দেওয়ালের লিখন পড়তে পারে নাই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। সেই গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মানবাধিকার অপেক্ষায় আছে। জীবনের নিরাপত্তা দেশের মানুষ চাই। তাই কিছু মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে দেশ কোন পথে যাবে। সেটা কি জনগণ গ্রহণ করবে? যত সংস্কার প্রয়োজন, তত সংস্কার দেশের সংসদে হবে ইনশাআল্লাহ। বিএনপি এবং সহযোগীরা আগামী সংসদে সব সংস্কার ৩১ দফার মধ্যে আছে। এর বাইরেও যদি সংস্কার থাকে, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে সংস্কার করবো।
তিনি রবিবার (২৬ জানুয়ারী) বিকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ৩৩নং ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ড় বিএনপি কার্যলয়ে ৩৩নং ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন এর উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
৩৩নং ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আকতার খান এর সভাপতিত্বে সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত শীতবস্ত্র অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, হারুন জামান, শওকত আজম খাজা, শিহাব উদ্দিন মুবিন,ইসমাইল বালি, এম. এ হালিম, তৌহিদুল ইসলাম নিশাদ, নুর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ খান, জাহেদ আহমেদ, সাইফ উদ্দিন মির্জা, আবদুর রাজ্জাক, রমজান আলি, সাজ্জাদ হোসেন, মনোয়ারা বেগম, মেজবা উদ্দিন মিন্টু, সাইফুল ইসলাম দিপু, ইকবাল শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন, মোহাম্মদ ওয়াসিম, আরিফুল হক সোহেল, আইনুল ইসলাম জুয়েল, মাসুদ রানা, সাইফুল ইসলাম আতিকুর রহমান, আকতার হোসেন, পারভিন আকতার, জাহাঙ্গীর আলম, হাসান আলী মান্টু, ফিরোজ খান, কুতুবউদ্দিন মুন্না, মোঃ শাওনসহ ব্যক্তি বর্গ উপস্তিত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশ স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টকে বিতাড়িত করেছে। দেশ যেই কারণে ফ্যাসিস্টকে বিতাড়িত করেছে, তার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রবর্তন করা। গণতান্ত্রিক উপায়ে বাংলাদেশে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সংসদের যাবেন, সরকার গঠন করবেন। যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন। শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল, সে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ ছিল না, জবাবদিহি ছিল না। কারণ, সে অনির্বাচিত, দখলদার, স্বৈরাচার। বাংলাদেশে আমরা আর কোনোদিন কাউকে দখল করতে দিব না। বাংলাদেশে আর কোনো স্বৈরাচারকে ক্ষমতা দখল করে থাকতে দিব না। স্বৈরাচার বহুরুপের আছে। স্বৈরাচারের রুপ কিন্তু অনেক রকম। অনেকে জনগণের ভোট নিয়ে স্বৈরাচার হয়ে যায়। অনেকে দেশের মানুষের কথা বলে স্বৈরাচার হয়ে যায়। অনেকে আন্দোলনকে হাইজেক করে স্বৈরাচার হয়ে যায়। www.amarbangla.tvশেয়ার