শহীদ জিয়া মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন আবার অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন ডাঃ শাহাদাত হোসেন

 

আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীর দিনটি জাতীয় জীবনে খুবই শোকাবহ দিন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে দেশী বিদেশী ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে বিপদগামী সেনা সদস্যের হাতে তিনি নির্মমভাবে শাহাদত বরণ করেন। জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ছিলেন স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সততার প্রতীক। জাতি যখন নেতৃত্বশূন্য দিশেহারা তখনই জিয়াউর রহমান উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো আবির্ভূত হয়েছিলেন।

তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন আবার অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলেন। হানাদার বাহিনীর অতর্কিত হামলায় নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ে দেশের জনগন। এমনি এক অনিশ্চয়তার মধ্যে ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে তিনি পাক বাহীনির বিরুদ্ধে “উই রিভোল্ট” বলে বিদ্রোহ ঘোষনা করেন। অষ্টম ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের নিয়ে প্রতিরোধের মশাল জালিয়েছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জিয়াউর রহমান এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

তিনি আজ ৩০ মে রবিবার দুপুরে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নগরীর ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানের বিপ্লব বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণকালে এ কথা বলেন। এর পরে নগরীর ৮ নং শোলকবহর ওয়ার্ড়ের বড় গ্যারেজ এলাকায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচীর ১০ম দিনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। পরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসস্থ জিয়া স্মৃতি যাদুঘর পরিদর্শন করেন। এরপর বাদে জোহর চন্দনপুরা শাহী জামে মসজিদে শহীদ জিয়ার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন,জিয়াউর রহমান একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে এদেশের সমৃদ্ধির প্রতিটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার সততা ও দেশপ্রেম ছিল সকল প্রশ্নের ঊর্ধ্বে। তার সততা নিয়ে তার চরম শত্রুও কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি। ২৫ মার্চের ভয়াল রাতে হানাদার বাহিনীর আক্রমণের সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলে আজো দেশবাসীর হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক কাজী বেলাল উদ্দীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইস্কান্দার মির্জা, সদস্য আশরাফ চৌধুরী, হারুন জামান, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মহানগর বিএনপি নেতা এম আই চৌধুরী মামুন, রাহেলা জামান, ইদ্রিস আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন, আরিফ মেহেদি, মালেক ফারুকী, মো. মহসিন, নুরুল হক, শোলকবহর ওয়ার্ড় বিএনপির সভাপতি কাজী শামসুল আলম, চকবাজার ওয়ার্ড় বিএনপির সভাপতি মন্জুর আলম মন্জু, সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম বাবলু, হাসান ওসমান চৌধুরী, হাজী ইমরান উদ্দীন, সাদেকুর রহমান রিপন, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ নাজিমুল হক নাজু, এম এ গফুর বাবুল, মো. আলী, সাইফুল ইসলাম নিরব, জিয়াউর রহমান জিয়া, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, মো. আলাউদ্দিন, মো. সালাউদ্দীন, আসাদুর রহমান টিপু, আবদুল আহাদ রিপন, মো. পারভেজ, গাজী শওকত, আকতার হোসেন লেদু, সাইদুর রহমান বেলাল, মো. শাহ আলম, নিজাম উদ্দিন আহমেদ, মজিবুর রহমান, হাজী কামাল উদ্দিন, কানন, জনী, মো হোসেন, সাজ্জাদ, চিসতী, আজগর প্রমূখ।