উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন ডা. শাহাদাত আবুল হাশেম বক্করসহ নেতৃবৃন্দ ।
আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার অপর নাম জিয়াউর রহমান। মেজর জিয়া ছিলেন রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সেনাপ্রধান এবং বাংলাদেশের একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য স্বাধীনতা পরবর্তী সরকার তাকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করেছে। অনেকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস না জেনে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। কিন্তু শহীদ জিয়াকে বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস রচনা করা সম্ভব নয়। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের আপামর মানুষের হৃদয়ে মেজর জিয়া নামেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকবেন।
তিনি শনিবার (২৯ মে) দুপুরে নগরীর ১০ নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের সিটি গেইটস্থ ময়ুরী কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচীর ৯ম দিনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে এসব কথা বলেন। এর আগে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রস্তুতি সভায় রোববার (৩০ মে) সকাল ১১ টায় নগরীর ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পন, ১২ টায় ৮ নং শোলকবহর ওয়ার্ডে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, এরপর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসস্থ শহীদ জিয়া স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন, বাদে জোহর শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়ীত চন্দনপুরা শাহী জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল ও বিকাল তিনটায় নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলেন। হানাদার বাহিনীর অতর্কিত হামলায় নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ে দেশের জনগন। এমনি এক অনিশ্চয়তার মধ্যে ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে তিনি পাক বাহীনির বিরুদ্ধে “উই রিভোল্ট” বলে বিদ্রোহ ঘোষনা করেন। অষ্টম ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের নিয়ে প্রতিরোধের মশাল জালিয়েছিলেন। সেদিন অমানিশার ঘোর অন্ধকারে উজ্জল নক্ষত্রের মতো জিয়াউর রহমান উদয় হয়েছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জিয়াউর রহমান এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক কাজী বেলাল উদ্দীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য আশরাফ চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর বিএনপি নেতা সিহাব উদ্দীন মোবিন, আব্বাস রশীদ, ইদ্রিস আলী, আলী আজম চৌধুরী, আলী ইউসুফ, আইয়ুব খান, মহিউদ্দীন কোম্পানি, আকবরশাহ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাঈনুদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রফিক উদ্দীন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলম চৌধুরী, গোসাইলডাঙা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈয়িদ হারুন, নগর যুবদলের সহ সভাপতি শাহেদ আকবর, সিরাজ উদ্দীন, মহিলাদল নেত্রী ছকিনা বেগম, বিএনপি নেতা মহসিন তালুকদার, কুতুব উদ্দীন চৌধুরী, নাজিম উদ্দীন, মো. রফিক, বাবুল কোম্পানি, আমীর খান, সেলিম উদ্দীন, শফিকুল ইসলাম, মোজাহেরুল আলম, মো. আলাউদ্দিন, শফিকুল ইসলাম পলাশ, শওকত আলী, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আসাদুর রহমান টিপু, ফেরদৌস আলম, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. পারভেজ, তারিকুল ইসলাম তানভীর, হারুনুর রশীদ, হায়াতুর রশীদ, মেজবাহ উদ্দীন, তৌহিদুল আলম, গিয়াস উদ্দীন টুনু, নাজিম উদ্দীন খান, আবু শহীদ, আব্বাস রিপন, মো. তৌসিব, মো. শা
মীর, মো. ফাহিম, মো. হানিফ প্রমুখ।