মিতু হত্যায় আসামি হলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার

 

পাঁচলাইশ থানায় মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন ও আসামি বাবুল আক্তার। 

 

আমার বাংলা টিভি ডেস্ক : মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার নতুন মামলায় এক নম্বর আসামি করে পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (১২ মে) দুপুরে পাঁচলাইশ থানায় মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদি হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন। পাঁচলাইশ থানার মামলা নম্বর: ৫ ।

পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান, দণ্ডবিধির ৩০২, ১০৯ ও ৩৪ ধারায় বাবুল আক্তার সহ আটজনকে আসামি করে দায়ের করা মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবিরুল ইসলামকে এ মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মো. কামরুল ইসলাম সিকদার প্রকাশ মুসা (৪০), এহতেশামুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া (৪১), মো. মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম (২৭), মো. আনোয়ার হোসেন (২৮), মো. খায়রুল ইসলাম প্রকাশ কালু (২৮), সাইদুল ইসলাম প্রকাশ সাকু (৪৫) ও শাহজাহান মিয়া (২৮)।

এদের মধ্যে সাইদুল ও শাহজাহান পলাতক।
বাবুল আক্তারের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন মামলা দায়ের শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে মিতুকে হত্যা করা হয়েছে।

তাই বাবুল আক্তার সহ ৮ জনকে আসামি করে মামলা করেছি। বাবুল আক্তারের সঙ্গে এক এনজিও কর্মীর পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় আমার মেয়ের সঙ্গে বাবুলের ঝগড়া হয়। মৃত্যুর আগে মিতু বিষয়টি আমাদের জানিয়েছিল। পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমাধানেরও চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারিনি। বাবুল ও ওই নারী মিতুকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিল’।

এর আগে সোমবার (১০ মে) মামলার বাদি হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ে ডেকে আনা হয় তাকে। মঙ্গলবার (১১ মে) সারাদিন বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে জানিয়েছেন পিবিআই’র এক কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মিতুকে। এই ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন দাবি করে আসছিলেন, বাবুল আক্তারের পরিকল্পনায় ও নির্দেশে তার মেয়ে মিতুকে খুন করা হয়েছে।