ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ গড়া সম্ভবঃ ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ বাংলাদেশের মুসলমান হিন্দু বৌদ্ধ সকল ধর্ম পালনে সরকার সমসুযোগ দিয়ে থাকেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করে সংবিধান উপহার দিয়েছেন। তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছেন। দেশবাসী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে।মুসলমান হিন্দ বৌদ্ধ সকল সম্প্রদায়ের মানুষের অংশগ্রহণে ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।

শুক্রবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম বিভাগের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তেব্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খাঁন এসব কথা বলেন।

এসময় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. আ: হামিদ জমাদ্দার, ইসলামী ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ফারুক আহমেদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন বিভাগীয় সভাপতি এ কে এম এহসানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, সাতকানিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল আলম, আওয়ামী যুব লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বদিউল আলম, খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি, উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি উত্তম শর্মা, ট্রাষ্টি সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়াসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন মন্দিরের পুরোহিতগণ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৮৩ সালে খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিষয়ক অধ্যাদেশ জারির ২৬ বৎসর পর ৫ নভেম্বর ২০০৯ সালে খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়। সরকার ২০১১ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে ট্রাস্টের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৫ কোটি টাকার এনডাওমেন্ট তহবিল ছাড়পূর্বক ট্রাস্টের নামে ১টি স্থায়ী আমানত করেছে।

ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার পর বিগত ১০ বছরে ট্রাস্ট তহবিলের মুনাফার টাকা থেকে দেশের ৪১৭টি চার্চকে ২ কোটি ১৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরো জানিয়েছেন, পালক-পুরোহিতদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ০৬টি এবং ছাত্র-যুবকদের নীতি নৈতিকতা বিষয়ক ১৪টি প্রশিক্ষণ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এতে ৪৪৬ জন পালক-পুরোহিত এবং ৯৬৬ জন ছাত্র-যুবক অংশগ্রহণ করেছে।

এছাড়াও বিগত ২০১৮ , ১৯ ও ২০২০ সালের শুভ বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে সমগ্র বাংলাদেশে গীর্জা/চার্চ/উপাসনালয়গুলোর জন্য খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এর অনুকূলে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার বিশেষ অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান যে, ২০০৮ সাল পর্যন্ত খ্রীস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়নি এবং খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের কল্যাণে কোন উন্নয়ন কার্যক্রম ইতোপূর্বের সরকারগুলো গ্রহণ করেনি।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন বিভাগীয় সভাপতি এ কে এম এহসানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল জানান মুসলমান ধর্মের সাথে অন্যকোন ধর্মের মত পার্থক্য নেই। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক ধর্মের দেশ। সংখ্যালগু বলতে কিছু নেই। সবার অংশগ্রহণেই সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্বব। এসময় তিনি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের কল্যাণ ট্রাষ্টের জন্য ৫০ কোটি টাকার ফান্ড করে দেওয়ার প্রস্তাব করেন।