স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া চির অম্লান গাজী সিরাজ

 জিয়াউর রহমানের রাঙ্গুনিয়াস্থাহ ১ম সমাধিতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটির পুষ্পমাল্য অর্পণ।

আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ দীর্ঘ ৮ বছর পর চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের ৫৮৩ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়। এতে সহ-সভাপতি ১২০ জন যুগ্ম সম্পাদক ১৯৩ এবং সহ-সাধারণ ৯৫, সহ-সাংগঠনিক ৬৫, সম্পাদক ৬৯ এবং ৩০ জন সদস্যসহ বিশাল কমিটি গঠন করা হয়। ধারাবাহিক কমিটি গঠন না হওয়াতে কমিটির আকার বড় করা হয়।

দীর্ঘদিন পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়াতে নেতৃবৃন্দদের মাঝে একটি উচ্ছাস তৈরি হয়। নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের ১ ম সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের উদ্দেশ্য নগর ছাত্রদল বেলা ১২ ঘটিকায় নসিমন ভবন দলিয় কার্যালয় হতে রওনা হয়ে জিয়ার মাজারে পৌছা মাত্রই প্রশাসনের বাধার মুখে জিয়াউর রহমানের সমাধীতে প্রবেশ করতে প্রায় ১ ঘন্টা বিলম্ব হয়। পরবর্তীতে সকল বাধা অতিক্রম করে সমাধীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন নগর নেতৃবৃন্দ।

এতে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি, মহসিন কবির আপেল, আলিফ উদ্দিন রুবেল, নওশাদ আল জাসেদুর রহমান, মোহাম্মদ হোসেন টিটু, এন মোহাম্মদ রিমন, নিয়াজ মোরশেদ খান, খোরশেদ আলম টিটু, কামরুজ্জামান টগর, শহিদ উল্লাহ সাগর, যুুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, মো: আনাছ, আরিফুল ইসলাম আরিফ, রাসেল সরকার, মো: হাসান, মো: হোসেন, ছালামত আলী, মো: সাইদুল আলম, মো: মোরশেদ, মো: ফয়সাল, মো: শারিয়ার আহমেদ, শাহাদাত খান রাসেল, সাইফুল ইসলাম সায়েল, সহ সাধারণ সম্পাদক মো: আরিফ মহিউদ্দিন, মো: মিরাজ হোসেন, মোহাম্মদ হোসেন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো: সোহেল রানা, আমজাদ হোসেন ইমরান, সহ যোগাযোগ সম্পাদক মো: পারভেজসহ ১৫ থানা, কলেজ ও ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজ বলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা, দেশের ১ম রাষ্ট্রপতি, স্বাধীনতার ঘোষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের গড়া জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করে নি।

তিনি বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে সকল আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া একটি সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার যতই বাধা দিবে ছাত্রদল অতীতের চেয়ে আরো শক্তিশালী হয়ে রাজপথে সকল বাধার মোকাবেলা করবে। ১৯৯০ সালে এরশাদ শাহী সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে জাতীয়বাদী ছাত্রদল বিরল ভূমিকা ছিল। আন্দোলনে অনেক ত্যাগী কর্মী আত্মাহতি দিয়েছিল।

এমতাবস্থায় বাকশাল সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে জনমত গড়ে তুলতে হবে। বিপ্লবের চেতনায় ছাত্র সমাজকে নিয়ে প্রতিবাদ মূখর আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।