আল্লামা আহমদ শফি (রঃ) খুনের অনতিবিলম্বের বিচার বিভগিয় তদন্ত চাই শীর্ষ আলেম পীর মাশায়েক

শায়খুল ইসলামের খুনের অনতিবিলম্বের বিচার বিভগিয় তদন্ত চাই, দেশের শীর্ষ ৩১৩ জন আলেম পীর মাশায়েক। 

আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় শীর্ষ আলেম হাটহাজারী মাদ্রাসার সাবেক
মাহাপরিচালক বেফাক ও হাইয়ার সাবেক চেয়ারম্যান হেফাজত ইসলাম বাংলদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি (রঃ) কে পরিকল্পিত মৃত্যুর জন্য ঘাতকরা ২ দিন ধরে চরম নির্যাতন ও মানষিক নিপিড়ন চালিয়েছে।

হাটহাজারী মাদ্রাসায় আন্দোলনের নামে
সন্ত্রাস লুট তরাজের মাধ্যমে আল্লামা আহমদ শফি (রঃ) এর রুম ভাংচুর মাদ্রাসার মুহাদ্দিসদের রুম ভাংচুর ও তাদেরকে স্বারিরিক ভাবে মারধরের
মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা পুরো কওমি অঙ্গনকে কলোসিত করেছে। জামাত শিবিরের ক্যাডার ও মানহাজী ও চরমপন্তি এ চক্রান্তের সাথে জড়িত।

মূলত হাটাহাজারী মাদ্রাসার ক্ষমতা দখল, কওমি অঙ্গনকে দখল ও রজনৈতিক ভাবে সরকার বিরোধী আন্দোলনের প্লাট ফরম তৈরি করতে
এবং কওমী মাদ্রাসার লক্ষ লক্ষ ছাত্র তরুন প্রজন্ম সরকার বিরোধী ইস্যু সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের পতন তরান্বিত করতে বিরোধী রাজনৈকি এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষে আল্লামা শাহ আহমদ শফী (র:) দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়াই তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল।

আজ যখন আল্লামা শাহ আহমদ শফী (র:) পরিবার হত্যার বিচার ছেয়ে ধারে ধারে ঘুরছে, যখন
বিচারের জন্য আদালতের স্বরনা পন্ন হল, তখন আমরা দেখতে পাচ্ছি এক শ্রেণির ক্ষমতা লুভি ও রাজনৈতিক এজেন্ডা বস্তবায়ন কারিরা বিচার
বিভাগীয় তদন্তের দাবিকে অসিকার করে আল্লামা শাহ আহমদ শফী (র:) লাশ কবর থেকে তুলতে হবে বলে সধারণ মানুষকে বিভ্রান্তি করছে, আমরা এর তিব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি। সাথে সাথে সরকারের কাছে অনতি বিলম্বে শায়খুল ইসলামের খুনের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবী জানাচ্ছি এবং দোষীদেরকে গ্রেপ্তার পূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী করছি।

বিভৃতিতে ওলামায়েকেরাম পীর মাশায়েকগণ আরো বলেন গত বুধবার হাটহাজারী মাদ্রাসায় জুনাইদ বাবু নগরী তার আপন মামাকে ও হাটহাজারী মাদ্রাসার কিছু নিরহ ওস্তাদদের কে সাথে নিয়ে যে
সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার মাধ্যমে তিনি একটি কথায় বারবার তুলে ধরেছেন তাহল আল্লামা শাহ আহমদ শফী (র:) স্বভাবিক মৃত্যু হয়েছে যদি স্বভাবিক মৃত্যু হয় তবে তদন্ত হলে সমস্য কোথায়?

স্বভাবিক মৃত্যু হলে তদন্তের ফলাফল তাইত বেরিয়ে আসবে। তাহলে তিনি কেন মামলা প্রত্যাহার করার জন্য হুমকি দিচ্ছেন? এবং প্রত্যাহার করা না হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে হুমকি দিচ্ছেন এতে করে বুঝা যায়, ডাল মে কুছ কালা হ্যায়, তিনি যদি তার দাবীতে সথ্য বাদি হয়ে থাকেন তাহলে তার উচিত ছিল এই মামলা ও তদন্ত সব কিছুতে সাধুবাদ জানানো তা না করে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে হুমকি দমকি দিয়ে এটাই প্রমাণ করলে যে, আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যু অস্বভাবিক হয়েছে তিনি
হাটহাজারী মাদ্রাসার কোন ওস্তাদ মামলার অভিযোক্ত না হলেও সংবাদ সম্মেলনে হাটহাজারী মাদ্রাসার ওস্তাদদেরকে উপস্থিত রেখে মূলত নিরহ আলেম ওলামাদেরকে বির্তকে জড়ানোর চেষ্ট করেছেন এবং পাবলিকের দৃষ্টি ভঙ্গিকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার পায়তারা করেছেন।

বিবৃতিতে ওলামারা বলেন, ৩৬ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে যেই মামলা হয়েছে তারা সবাই আল্লামা শাহ আহমদ শফী হত্যা কান্ডের সাথে
প্রত্যেক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িত, শাকদিয়ে মাছ ডাকতে তারা আজ বিভিন্ন আলেমদের নামে নিজেরার বিবৃতি দিচ্ছে মিড়িয়াতে যারা
আল্লামা শাহ আহমদ শফী (র:) জানাজায় শারিক হয়েছিলেন, তারা সবায় দেশের মানুষ আল্লামা শাহ আহমদ শফী (র:) কে হত্যা কান্ডের নিশান প্রত্যক্ষ করেছে এবং হযরতের পরিবার থেকে একাদিক বার বক্তব্য ও সাংবাদিক সম্মেলন করে বিচারের দাবী করা হয়েছে। একজন ভিকটিম হিসাবে হত্যা কান্ডের বিচার দাবী করা তার পরিবারের জন্য আপরাধ?
সন্ত্রাসিরা হযরতের পরিবার এবং মাওলানা আনাছ মাদানীকে আজো হত্যার হুমকি দিচ্ছে তাদের ভায়ভিতি কারনে তিনি স্বচরাচর চলফেরা
করতে পারছে না। আমরা এহেন পরিস্থিতির জন্য আইন শৃংখ্যলা সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কমনা করছি।ওলামাকেরাম যে কোন অবস্থায় কাওমীয়াতের ঐক্য ধরে রাখতে ও সড়যন্ত্রকারীদের পাঁদে পা না দিতে সবার প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।

বিবৃতিদাতারা হলেন, আল্লামা মুফতি ওসমান সাহেব ঢাকা, আল্লামা মুফতি নুরুল ইসলাম ঢাকা, মাওলানা আব্দুল কাদের, মাওলানা মুফতি সাইফুল ইসলাম ঢাকা, মাওলানা মুফতি খেফায়ত উল্লাহ ঢাকা, মওলানা মুস্তাফা কামাল সিলেট, মাওলানা মুফতি সিরাজুল ইসলাম চট্টগ্রাম, মাওলানা মুফতি
নোমান কাসেমী নোয়াখালী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান জিহাদী চট্টগ্রাম, মাওলানা রহিম উল্লাহ নোমানী কুমিল্লা, মাওলানা আব্দুল হক চাঁদপুর, মাওলানা আব্দুস সাত্তার জিহাদী ঢাকা, মাওলানা মুজাহেরুল হক জামালপুর, মাওলানা সাইফুদ্দিন কাসেমী চট্টগ্রাম, মাওলানা আমিনুল ইসলাম বাগেরহাট, মাওলানা নাছির উদ্দিন আফেন্দি পাবনা, মাওলানা মুফতি আহমদ আলী কুমিল্লা, মাওলানা হাফেজ জাবের আহমদ নরসিংদী, মাওলানা মুফতি ফয়জুল করিম সিলেটি, মাওলানা শহিদুল্লাহ যশোর, মাওলানা ইয়াকুব আহমেদ কক্সবাজার, মাওলানা মুবিনুল হক, মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা সুলাইমান, মাওলানা সাদেক হোসাইন, মাওলানা ইকবাল হোসেন, মাওলানা সাকের হোসেন জালালী, মাওলান নজরুল ইসলাম রহিমী, মাওলানা আব্দুল ওয়াহাব জাফরী নওগা, মাওলানা মুফতি রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।