বর্তমান সরকার এরশাদের চেয়ে বড় স্বৈরচারী ডাঃ শাহাদাত

আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শহীদ ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন স্বৈরচারী শাসন বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় নাম। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর তৎকালীন সরকারের লেলিয়ে দেয়া পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন তিনি। স্বৈরাচারী শাসনের শৃঙ্খল থেকে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে গিয়েই শহীদ হয়েছেন ডাঃ মিলন। কিন্ত বর্তমানে দেশের গণতন্ত্র আবারও গভীর খাদের কিনারে গিয়ে পড়েছে। ভোটারবিহীন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় দু:শাসনে গিলে ফেলা হয়েছে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা।

গণতন্ত্রের শত্রুরা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ফেলেছে। মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা অপহরণ করা হয়েছে। মানুষের কথা বলা ও ভোটের অধিকার হরণ করে অতীত বাকশালের দু:স্বপ্ন এখন বাস্তব রুপ লাভ করেছে। বর্তমান সরকার এরশাদের চেয়ে বড় স্বৈরচারী সরকারে পরিণত হয়েছে।

তিনি শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বিকালে ডাঃ মিলনের ৩০ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র ধ্বংসকারী অপশক্তিগুলোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গণতন্ত্রকে মজবুত ভীতের ওপর দাঁড় করাতে হবে। আর তাহলেই ডাঃ মিলনের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ডাঃ মিলন পালন করেছিলেন অকুতোভয় সৈনিকের ভূমিকা। তাঁর আত্মদানের মধ্য দিয়ে নয় বছরের স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রাম চুড়ান্ত বিজয়ের দিকে ধাবিত হয়। গণতন্ত্রের জন্য ডাক্তার মিলনের এই সর্বোচ্চ আত্মদান এ দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সকল কর্তৃত্ববাদী ও স্বৈরচারী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে ডাঃ মিলন আমাদের প্রেরণার উৎস।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিঃ সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, স্বৈরাচারী সরকারকে হটিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠাই ছিলো ডাঃ মিলনের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। বুকের রক্ত ঢেলে তিনি এদেশে গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের পথ প্রশস্ত করে গেছেন। বর্তমান সরকার মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে কলঙ্কিত করেছে। এখন গণতন্ত্র পূনঃউদ্ধারে ডাঃ মিলনের আত্মত্যাগ আমাদেরকে প্রেরণা জোগাবে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলামের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, হারুন জামান, ইকবাল চৌধুরী, সিঃ যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দীন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, সহ-সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, হকার্স সম্পাদক আব্দুল বাতেন, সহ-সম্পাদকবৃন্দ একেএম পেয়ারু, আব্দুল হালিম স্বপন, রফিকুল ইসলাম, মোঃ ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম কুতুবী, আবু মুছা, সদস্য ইউছুপ সিকদার, নগর মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক নুরুল হক, নগর তাঁতী দলের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, এসএম মফিজ উল্লাহ,আলাউদ্দিন আলী নূর, ইলিয়াছ চৌধূরী, মোহাম্মদ মহসিন, আজম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাসান উচমান চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ জাহেদ, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মোহাম্মদ মুছা, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া, গোলজার হোসেন, আবু মহসিন চৌধুরী, দিদারুল আলম, আবদুল হাকিম, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।