হিরোশিমা দিবসে টার্গেট সিলেট!
আমার বাংলা টিভি ডেস্ক : ৭৫ বছর আগের ঘটনা। ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট পরমাণু বোমায় কেঁপে উঠেছিল জাপানের হিরোশিমা।
ইতিহাসের সেই ঘৃণ্যতম ঘটনা কালিমা লেপন করে দিয়েছে আজকের দিনটি। তবে, কি এই দিনটিকে টার্গেট করেছে সন্ত্রাসীরা। নাকি ইতিহাসের কলঙ্কময় ঘটনার দিনে জনমনে ভয় ধরাতে বোমা সদৃশ্য বস্তু রাখা হয়েছে! এখন কেবল উদ্ধারের অপেক্ষায় প্রহর গুনা। কখন আসবে বোমা নিস্ক্রিয়করণ ইউনিট।
শনাক্ত হবে বোমা আসল নাকি নকল।
বুধবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পুলিশ সার্জেন্ট চয়ন নাইডুর মোটরসাইকেলে রাখা ড্রিল মেশিন আকৃতির বোমা সদৃশ্য ডিভাইসটি।
ঘটনার পর থেকে রাতভর ঘটনাস্থল ঘেরাও করে রাখে পুলিশ, সিআরটি ও র্যাব।
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সকাল সাড় ১০টা পর্যন্ত বোমা বিশেষজ্ঞ টিম ঘটনাস্থলে পৌছায়নি।
সিলেট নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, বোমা সদৃশ্য বস্তুটি উদ্ধারে এখনো কোনো আপডেট নেই। বিশেষ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছালেই কাজ শুরু হবে।
এদিকে, র্যাব সূত্র জানায়, মোটরসাইকেলে রাখা ডিভাইসটির ছবি তুলে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এই নিয়ে ঢাকায় বিশেষজ্ঞরা বৈঠক করেছেন।
বুধবার পুলিশের ওই কর্মকর্তা নগরের চৌহাট্টা ট্রাফিক বক্স সংলগ্ন সড়কে মোটরসাইকেল রেখে একটি দোকানে যান। ফিরে এসে দেখতে পান তার পেছানো লাল রঙ্গের ডিভাইসটি মোটরসাইকেলে রাখা। তাৎক্ষণিক তিনি ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ সাংবাদিকদের বলেন, বস্তুটি বোমা কিনা, পরীক্ষার জন্য পুলিশ, সিআরটি টিম ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৯) বোম্ব ডিস্পোজাল টিম কাজ করবে।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ধ্যা ৭টা থেকে আমরা পুরো এরিয়া ব্লক করে দিয়েছি। কোনো ধরনের ঝুঁকি ছাড়াই কাজ করতে চাচ্ছি। তবে এটা নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর কিছু নাই।
সকাল ১১টা পর্যন্ত বোমা সদৃশ্যবস্তুটি উদ্ধার করা যায়নি। ঢাকা থেকে বোমা বিশেষজ্ঞ টিম হওয়ানা হয়েছে। তারা পৌঁছার পর পরই ‘বোমা সদৃশ্যবস্তুটি উদ্ধারে কাজ শুরু করবেন।
এদিকে, নগর এলাকায় ১০১টি সিসি ক্যামেরা সংগ্রহ করে তা পর্যবেক্ষন করবেন বলেও জানায় পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যায় চৌহাট্টা এলাকার সিংহবাড়ির পাশে (পূর্বের পুলিশ চেকপোস্টের সামনে) দাঁড় করিয়ে রাখা আধুনিক মডেলের একটি মোটরসাইকেলে সন্দেহজনক ডিভাইস লাগানো দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এই ডিভাইস দেখে তাদেরও সন্দেহ হয়।
পরে মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ, কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিঞাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে জায়গাটিকে ফিতা টেনে ঘিরে রাখেন। ওই সড়কে যান চলাচলও বন্ধ করে দেন