আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ওবায়দুল কাদের।
আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপির মনে নেতিবাচকতার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই একই বক্তব্য দিয়ে আসছে। অনবরত সমালোচনার ভাঙা রেকর্ড বাজাচ্ছে। অন্ধ সমালোচনা, নেতিবাচকতা আর মিথ্যাচারের বৃত্ত থেকে তারা বের হতে পারছে না। প্রাণঘাতী করোনা বদলে দিচ্ছে বিশ্ব, বদলে দিচ্ছে পরিবেশ শিষ্টাচার। কিন্তু এ দলটিকে বদলাতে পারেনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা নিজেদের মধ্যকার সমন্বয়হীনতা না দেখে অন্যত্র সমন্বয় আছে কিনা সেটা খুঁজে বেড়ায়। নেতিবাচক ও দায়িত্বহীন রাজনীতির কারণে ইতোমধ্যে তারা রাজনীতির আইসোলেশনে পৌঁছে গেছে। বিষোদগারের ভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি সরকারের ভালো কাজ দেখতে পায় না। তাদের মনে ছড়িয়ে পড়েছে নেতিবাচকতার সংক্রমণ। amarbangla.tv
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব বলেছেন- সরকার নাকি কানে তুলো দিয়েছে। আমি বলতে চাই সরকারের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় সক্রিয় আছে। বরং আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন না অসহায়-কর্মহীন মানুষের কষ্ট। সরকারের সক্ষমতা বৃদ্ধির নিরলস প্রয়াস চোখ বন্ধ রাখলে দেখতে পাওয়া যায় না।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, চোখের সামনে থেকে মরচে ধরা চশমা সরিয়ে ফেলুন তবে সরকারের কার্যক্রম দেখতে পাবেন। বিএনপির দৃষ্টিসীমায় অবৈধ ক্ষমতার মসনদ আর দুর্নীতির পাহাড়। তাই তারা সরকারের ইতিবাচক কিছু দেখতে পায় না।
গণপরিবহনে মালিক-শ্রমিক ও যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মানার অনুরোধ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, দেশবাসী এ কথা জানেন সোমবার থেকে শর্তসাপেক্ষে সারাদেশে গণপরিবহন চলছে। প্রথম দিনে অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়েছে। অর্ধেক বা তার চেয়ে কম যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলছে। অনেকের ভাড়া সমন্বয়ের শঙ্কা ছিল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনগণের প্রতি মানবিক আচরণ এবং সংকটে ইতিবাচক সাড়া দেয়ায় আমি মালিক সমিতি, শ্রমিক সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। amarbangl.tv
তিনি বলেন, পাশাপাশি এটাও মনে করিয়ে দিচ্ছি, অনেকে মনে করছেন যাত্রী সংখ্যা বাড়লে পরিবহনগুলো অর্ধেক আসন খালি রাখার শর্ত মানবে না। জনগণের এই আশঙ্কা থেকে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের নিজেদের মুক্ত রাখতে হবে। আমি গাড়িতে ওঠার আগে, গাড়িতে এবং নামতে প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরন্ত মেনে চলার অনুরোধ করছি। আপনারা সচেতন থাকলেই কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধ সম্ভব হবে বলে আমার বিশ্বাস।
সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনা যাত্রী, মালিক-শ্রমিক আলাদা করে চিনবে না। ছাড় দেবে না কাউকে। তাই নিজেদের স্বার্থেই সচেতনতা জরুরি। সংক্রমণের বিস্তার রোধে সবাইকে মনোবল নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সচেতনতার প্রাচীর নির্মাণ করতে হবে। সচেতনতার প্রাচীর নির্মাণ করতে হবে আপন কর্ম ক্ষেত্রেও।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। শেয়ার করুন।