দীর্ঘ চার মাস পর শুরু হয়েছে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ

কাপ্তাই হ্রদ

আমার বাংলা টিভি ডেস্ক /রিপন মারমা রাঙ্গামাটি(প্রতিনিধি): কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারে চার মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে আবারও মৎস্য আহরণ শুরু হয়েছে। কার্প জাতীয় মাছের বংশ বিস্তারের লক্ষ্যে প্রতি বছর তিন মাসের জন্য ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত হ্রদে মাছ শিকার বন্ধ থাকে। তবে এ বছর হ্রদে পর্যাপ্ত পানির অভাবে মাছের বংশ বিস্তার সুষ্ঠুভাবে না হওয়ায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ তিন দফায় আরও ৩০ দিন বাড়ে। দীর্ঘদিন পর মাছ শিকার শুরু হওয়ায় খুশি জেলেরা।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) সূত্র মতে, গত বছর কাপ্তাই হ্রদ হতে ১২ হাজার ৩৪৫ মে. টন মৎস্য আহরিত হয়। এ থেকে রাজস্ব আদায় হয় প্রায় ১২ কোটি ১৩ লাখ টাকা। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, এ বছর আশানুরূপ মাছ শিকার করা সম্ভব হবে। এবার মাছ আহরণে গতবারের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে বিএফডিসিও। ৭২৫ বর্গকিলোমিটারের এই হ্রদে এই বছরে ৪৩ মে. টন কার্পজাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে।

লেকটি প্রতি বছর তিন মাস বন্ধ থাকে। এ বছর চার মাস বন্ধ ছিল। তাই মাছের বৃদ্ধি অন্যান্য বছরের তুলনায় ভালো হবে। ব্যবসায়ীরাও ভালো ব্যবসা করতে পারবেন এবং এতে সরকরের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।’

বিএফডিসির রাঙামাটি বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘হ্রদে পানি কম থাকায় তিন মেয়াদে আরও এক মাস মাছ আহরণের নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধির পর ১ সেপ্টেম্বর থেকে সব খুলে দেওয়া হচ্ছে। হ্রদে প্রত্যাশিত পানি না হলেও স্থানীয় অর্থনীতিসহ জেলে ও ব্যবসায়ীদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রেখে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে না।’

উল্লেখ্য, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম হ্রদ কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করা, হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশকে মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতি বছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়। তবে এবার হ্রদে পর্যাপ্ত পানি না থাকার কারণে ১ আগস্ট থেকে মৎস্য আহরণ শুরু করা যায়নি। কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য শিকার বন্ধকালীন প্রায় ২৫ হাজার পরিবারকে ২০ কেজি করে তিন মাস খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয় জেলেদের।