ছবি: আরাফাত আরেফিন।
আমার বাংলা টিভি ডেস্ক : লকডাউনের কারণে গণপরিবহন না চললেও চট্টগ্রামে খুলেছে শপিংমল, দোকান ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তবে প্রথম দিন হওয়ায় দেখা নেই ক্রেতার।
চট্টগ্রাম টেরীবাজার সানা ফ্যাশন মলের স্টাফ মোহাম্মদ কপিল উদ্দিন আমার বাংলা টিভিকে বলেন, লকডাউনের আগে অনেকে ঈদের শপিং সেরে নিয়েছেন। তাই ক্রেতা সমাগম কম। তবে লকডাউন পুরোপুরি উঠে গেলে ব্যবসা জমে উঠবে বলে মনে করি ।
টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও নিরব এন্টারপ্রাইজ এর মালিক আলহাজ্ব আবদুল মান্নান আমার বাংলা টিভিকে বলেন, রমজান মাস আমাদের বেচাকেনার মৌসুম। গতবছর ঈদে কোনো ব্যবসা হয়নি। এ ক্ষতি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারিনি। এবছরও দোকান বন্ধ থাকলে ক্ষতির সম্মুখিন হতে হতো। ঈদের বাকি আর মাত্র ১৬/১৭ দিন। এর মধ্যে যদি ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারি, সেই চেষ্টায় আছি।
এদিকে দোকান খোলা রাখার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি তদারকি করছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ বিষয়ে দোকান মালিক সমিতি এবং ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলা ও চিটাগং মেট্রোপলিটন শপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা এই পেশায় জড়িত ব্যাপক সংখ্যক মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয় বিবেচনা করে শপিংমল-দোকান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট-শপিংমলগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কেনাবেচার ব্যাপারে তদারকি থাকবে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির চট্টগ্রাম জেলা শাখার সহ-সভাপতি ও সেন্টাল প্লাজা ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আকতার খান আমার বাংলা টিভিকে বলেন, গত বছরে লকডাউনের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি ব্যবসায়ীরা এখনো পর্যন্ত পুষিয়ে উঠতে পারেনি। ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসায়ীরা কোন ধরনের আর্থিক প্রণোদনা পায়নি। ব্যাংক ঋণ ও দোকানের পাওনা মেটাতে তাদের অবস্থা শোচনীয়। এছাড়া ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট, আয়কর সহ যাবতীয় সরকারি রাজস্বসমূহ ব্যবসায়ীরা সময়মত পরিশোধ করে আসছে।দোকান খুলতে না পারলে এ বছরও সে ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা কষ্টকর হয়ে পড়তো। লকডাউন নয়, কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা পরিচালনা করে জীবন ও জীবিকা দুটোই বাঁচানো সম্ভব।
অন্যদিকে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও গণপরিবহন না থাকায় রোববার (২৫ এপ্রিল) কাজে বের হওয়া মানুষকে পোহাতে হয় দুর্ভোগ। নগরের মোড়ে মোড়ে গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় অনেককে। পরিবহন না পেয়ে অনেকে রিক্সায় এবং পায়ে হেঁটে রওনা দিয়েছেন গন্তব্যে।