আবার তালেবানদের বিপক্ষে লড়তে প্রস্তুত আফগান অগ্নিকন্যা
আমার বাংলা টিভি আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুই তালেবানকে নিজ হাতে মেরে বাবা-মায়ের হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া আফগান কিশোরী কামার গুল এখন আরও বেশি প্রত্যয়ী। এই অগ্নিকন্যা জানিয়েছেন, এই জঙ্গিগোষ্ঠী যদি আবার তার ওপর অতর্কিত কোনো হামলা চালায় সেগুলোও মুখোমুখি লড়তে প্রস্তুত তিনি।
সম্প্রতি মধ্য আফগানিস্তানের ঘোর প্রদেশে গুলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার বাবা-মাকে হত্যা করে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে থাকা বন্দুক একে-৪৭ হাতে তুলে নেন ১৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী এই কিশোরী। ছোট ভাইকে নিয়ে বাবা-মার হত্যাকারীকে নিজ হাতে গুলি করে হত্যা করেন আহত করেন আরও বেশ কয়েকজনকে। amarbangla.tv
এ ঘটনার আফগানিস্তান ও বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে নজর কাড়েন গুল। বর্তমানে আফগান সরকারিবাহিনী প্রহরায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছেন এই অগ্নিকন্যা। পরিণত হয়েছেন তালেবান জঙ্গিদের অন্যতম টার্গেটে।
তবে ডর-ভয় ওঠে গেছে গুলের। এক আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে টেলিফোনে বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, “আমি আর তাদের ভয় পাই না। আমি তাদের সঙ্গে আবার লড়াই করতে প্রস্তুত আছি।” amarbangla.tv
বীরত্ব দেখানোর পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুলের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা চলছে। মাথার কাপড় ও হাতে মেশিনগান নিয়ে তোলা গুলের একটি ছবি গত কিছুদিন ধরে ভাইরাল।
তালেবান জঙ্গিদের হামলার সেই রাতের হৃদয় বিদারক ঘটনাটির স্মৃতিচারণ করে গুল জানান, ঘটনাটি ঘটেছিল মাঝরাতে। নিজের রুমে ১২ বছর বয়সী ছোট ভাইকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ দরজা ধাক্কানোর শব্দ শুনে ঘুম ভেঙে যায় তার। amarbangla.tv
“আমার মা দৌড়ে গিয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তারা এর আগেই দরজা ভেঙে ফেলে।”
“তারা আমার বাবা-মাকে বাইরে নিয়ে যায় এবং বেশ কয়েকবার গুলি করে। আমি আতঙ্কিত হয়ে যাই।”
“কিন্তু কয়েক মুহূর্ত পরই আমার মধ্যে ক্ষোভ সঞ্চার হয়। বাড়িতে থাকা বন্দুকটি হাতে তুলে নেই। দরজার সামনে যাই এবং তাদের গুলি করি।” amarbangla.tv
হামলাকারী দলের সর্দার বন্দুক কেড়ে নিতে চাইলে সেটি ছোট ভাইয়ের হাতে তুলে দিয়েছিলেন বলে জানান গুল, “আমার ভাই আমার কাছ থেকে বন্দুক নিয়ে নেয় এবং লোকটিকে গুলি করে। আহত হয়ে ওই জঙ্গি পালিয়ে গেলেও কিছুক্ষণ আবার ফিরে আসে।”
কিন্তু ততক্ষণে অনেক গ্রামবাসী ও সরকার সমর্থিত মিলিশিয়ারা তাদের বাড়িতে চলে আসে। দীর্ঘক্ষণ গোলাগুলির পর তালেবানরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়।
গুলের বাবা গ্রামপ্রধান ছিলেন। সরকার সমর্থক ছিলেন। আর এই জন্যই তালেবান যোদ্ধারা তার বাড়িতে হানা দেয় বলে ধারণা আফগান সরকারের কর্মকর্তাদের। শেয়ার করুন।