স্বাস্থমন্ত্রী, মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল, ছবি: সংগৃহীত
আমার বাাংল টিভি ডেস্ক : রিজেন্ট হাসপাতাল কেলেঙ্কারির জেরে পাওয়া শোকজের জবাব দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল কালাম আজাদ। বুধবার (১৫ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান গণ্যমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সাবেক স্বাস্থ্যসচিব আসাদুল ইসলামের মৌখিক নির্দেশেই রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। শোকজের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বেশকিছু কাগজপত্র নথিভুক্ত করে দিয়েছে। রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে সেখানে যথাযথ ব্যাখ্যা আছে কি-না, খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি । amarbangla.tv
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একাধিক সূত্রও জানিয়েছে, সাবেক স্বাস্থ্যসচিব আসাদুল ইসলামের নির্দেশেই বেসরকারি হাসপাতাল রিজেন্ট কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হিসেবে অনুমোদন পায়।
তারা এও জানায়, রিজেন্ট হাসপাতালকে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে মূল ভূমিকা পালন করেছেন অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আমিনুল হাসান। তিনিই হাসপাতাল পরিদর্শন করে একে কোভিড ডেডিকেটেড করার জন্য সুপারিশ করেন । amarbangla.tv
এর আগে ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে করোনা ডেডিকেটেড বিষয়ে চুক্তি করা হয়’- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালককে শোকজ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শারমিন আকতার জাহান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে শোকজ করা হয়।
এতে ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ’ বলতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কী বোঝাতে চেয়েছেন, সে বিষয়ে তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয় । amarbangla.tv
এই অফিস আদেশে বলা হয়, বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির প্রতি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি পড়েছে। ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
‘যেকোনো হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির আগে সেটি সরেজমিন পরিদর্শন, হাসপাতাল পরিচালনার অনুমতি পরীক্ষা- নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি, জনবল ও ল্যাব ফ্যাসিলিটি বিশ্লেষণ করে বিবেচিত হলেই চুক্তি করার সুযোগ রয়েছে ।
রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তির আগে কী কী বিষয় বিবেচনা করা হয়েছিল, চুক্তি করার শর্তগুলো প্রতিপালনে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে কী বোঝানো হয়েছে- এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা আগামী তিনদিনের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো । শেয়ার করুন ।