ইউএসটিসি ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা

 

করোনা রোগীদের চিকিৎসা হবে ইউএসটিসি হাসপাতালে। 

আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোগীর সংখ্যা যখন চট্টগ্রামে হু হু করে বাড়ছে। হাসপাতালের অভাবে বিনা চিকিৎসায় করোনা রোগী মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠছে। তখনই চট্টগ্রামে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় আরও ২টি হাসপাতালকে বিশেষায়িত কভিড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।

হাসপাতাল দুটি হল, ফয়েজ লেকের বেসরকারী অত্যাধুনিক ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল লিমিটেড এবং বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল বা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, চট্টগ্রাম (ইউএসটিসি)। এই দুুুটি হাসপাতাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের তত্বাবধানে পরিচালিত হবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের বলা হয়েছে।

করোনা রোগীদের চিকিৎসা হবে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে। 

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে জননিরাপত্তা বিভাগ এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক অনুরোধের সম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।amarbangla.tv

খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন শেষে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।

সকালে চট্টগ্রামে ২টি করোনা আইসোলেশন সেন্টার গড়ার উদ্যোগ নিয়ে ছিলো মেয়র।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতাল।

নগরীতে আরও দুটি করোনা হাসপাতালের উদ্যোগ নিয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এ জন্য নগরীর ১ টি হাসপাতাল ও সিটি হল নামের একটি কনভেনশন সেন্টারও পরিদর্শন করেছেন তিনি।amarbangla.tv

করোনা চিকিৎসায় আইসোলেশন সেবা নিশ্চিতে করণীয় ঠিক করতে মঙ্গলবার (২৬ মে) দুপুর ১১ টার দিকে এ দুটি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় মেয়রের সাথে বিভাগীয় কমিশনার ও সিভিল সার্জন উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র প্রথমে চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতাল এবং পরে সিটি হল কনভেনশন সেন্টার পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন,   amarbangla.tv

চট্টগ্রামের গুরুত্ব বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখানে যা প্রয়োজন তা করার নির্দেশনা দিয়েছেন। করোনা সংক্রমণ নগরীতে যেহেতু দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সেহেতু বিষয়টি ভালোভাবে বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। যার কারণে আমরা রেলওয়ে হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। এ নিয়ে ইতোমধ্যে সরকারের কাছ থেকে অনুমোদনও পাওয়া গেছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালটি প্রস্তুত করে রোগী ভর্তি করানোর প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে সিটি হল কনভেনশন সেন্টার নামে আরও একটি স্থানকে আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে প্রস্তুত করার কথা চলছে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক আমিরুল হক স্বপ্রণোদিত হয়ে সেটিকে আইসোলেশন সেন্টার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সেখানে ৩শ থেকে ৪শ শয্যা বসানো সম্ভব হবে। প্রাথমিকভাবে বিভাগীয় কমিশনার, সিভিল সার্জন, বিএমএ নেতারা এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। বিভাগীয় কমিশনার সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলবেন- দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি প্রস্তুত করা যায় কিনা। শেয়ার করুন।