আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পঞ্চাশ হাজার পরিবারকে সরকারি বেসরকারি খাদ্য সহায়তা ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় আনা হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি সহায়তার পাশাপাশি রাঙ্গুনিয়াতে আমার বাবা-মা’র নামে প্রতিষ্ঠিত আমাদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছি। ইতিমধ্যে হাজার হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও এই ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
শুক্রবার (০৮মে) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মজুমদারখীল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তথ্যমন্ত্রীর পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সঙ্কটে পড়া কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এনএনকে ফাউন্ডেশনের স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়ন প্রতিনিধি মো. ইদ্রিছ মেম্বারের সভাপতিত্বে ও নির্বনীতোষ সাহা ভাস্করের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার।
অনুষ্ঠানে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার জানান, তথ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্যায়ের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ চলছে এখন। এপর্যন্ত রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় প্রায় ১২ হাজার পরিবারে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটে চাল, ডাল, তেল, পেয়াঁজ ও চিনিসহ ১০ কেজির নিত্যপণ্য রয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে এসব ত্রাণ সামগ্রী নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে বিতরণ করা হচ্ছে। করোনার কারণে সৃষ্ট সঙ্কটে রাঙ্গুনিয়ার মানুষের জন্য তথ্যমন্ত্রী’র খাদ্য সামগ্রী বিতরণ পুরো রমজান মাস জুড়ে অব্যাহত থাকবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক এই সঙ্কটে বাংলাদেশের একতৃতীয়াংশের বেশি মানুষকে সরকারি সহায়তার আওতায় আনা হয়েছে। এরবাইরেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য, বিভিন্ন নেতাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা ইতিমধ্যে ৯০ লক্ষের বেশি মানুষকে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছৈ দিয়েছেন। গতকাল আমাদের দলের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঈদের আগে এককোটিরও বেশি মানুষকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এবং আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দরা ত্রাণ পৌঁছে দিবে।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নির্বাচনী এলাকার মানুষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আপনারা আমাকে বারবার নির্বাচিত করে সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি, আপনাদের দোয়া চাই, আমি যেন সবসময় আপনাদের পাশে থাকতে পারি। আপনাদের কোন অভাব অভিযোগ অসুবিধা থাকলে প্রশাসনকে অথবা স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের জানাবেন। আমরা আপনাদের পাশে থাকবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আ.লীগের সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদার, দপ্তর সম্পাদক আবু তাহের, সমাজকল্যান সম্পাদক কামাল উদ্দিন চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল্লাহ, ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বানীতোষ সাহা ভাস্কর, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ।