বোয়ালখালীতে কাঠের বাটাম দিয়ে পিটালো এক নারীকে

আহত তানজিনা সুলতানা মরজিনা পাশে ২ বছরের সন্তান তৃষা। 

 

আমার বাংলা টিভি ডেস্ক /বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে এক নারীর দুই হাত ও পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বোয়ালখালী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের রায়খালী মিয়ার পুকুর পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

আহত ওই নারীকে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করেছেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. চন্দ্রিমা বড়ুয়া বলেন, বিকেল চারটার সময় তানজিনা সুলতানা মরজিনা (২৪) নামের এক নারীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনেন স্থানীয় লোকজন। আহত নারীর দুই হাত, পা ও পিটে ফুলা এবং আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এক্স-রে ও ডায়াগনোসিসের পর বলা যাবে তিনি কি পরিমাণ ইনজুরি হয়েছেন। এই মূহুর্তে তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে।

আহত তানজিনা সুলতানা মরজিনা জানান, শুক্রবার দুপুরে তার শ্বশুর বাড়িতে ২ বছরের সন্তান তৃষার ভরণপোষণের খরচ চাইতে গেলে স্বামী ইয়াছিন (২৬) ও ভাসুর মনসুর (৩০) কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়কভাবে মারধর করেন। এরপর আহত অবস্থায় মেয়েকে নিয়ে শাকপুরা চৌমুহনী বাজারে পৌঁছেন। সেইখানে স্থানীয়রা ৯৯৯ নাম্বারে সহায়তা চাওয়ার পরামর্শ দিলে তিনি ফোন করেন। এরপর স্থানীয়রা তাকে উপজেলা হাসপাতালে পৌঁছে দেন।

মরজিনা বলেন, ৭-৮ বছর আগে বোয়ালখালী উপজেলার আয়ুব আলীর ছেলে মো.ইয়াছিনের সাথে পরিচয় হয় এবং প্রেম করেই তাদের বিয়ে হয়েছিলো। এরপর তাদের সংসারে তৃষা নামের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু গত ৫-৬ মাস আগে ইয়াছিন মরাজিনাকে তালাক দেন বলে জানায়। তালাকের পরও আবার ইয়াছিন সংসার করেন মরজিনার সাথে। তারপর ২০ হাজার টাকা চায় ইয়াছিন।

তিনি আরো বলেন, টাকা না দিতে না পারায় গত ৯ জুলাই ইয়াছিন মারধর করলে থানায় অভিযোগ করেছিলেন মরজিনা। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ তাদের মিলিয়ে দেন বলে জানান মরজিনা। শুক্রবার মারধরের ঘটনায় ৯৯৯ নাম্বারে সহায়তা চাইলে তারা থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান মরজিনা।

তিনি নগরী একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন এবং সিএন্ডবি হামিদচর এলাকায় ভাড়াবাসায় থাকেন। প্রেম করে বিয়ে করায় মা-বাবার সাথেও তার সম্পর্ক ভালো নেই।মরজিনার বাপের বাড়ি হলো কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার নতুন বাজার মহিনের বাপের বাড়িতে।

স্থানীয় জানান, ইয়াছিন এর আগেও একটি বিয়ে করেছিলেন। সেই স্ত্রী প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার সাথেও ইয়াছিনের সংসার বেশি দূর গড়ায়নি।

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেননি কেউ। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।