কাপ্তাইয়ে বন্য হাতির তাণ্ডবে জুম চাষিরা ক্ষতিগ্রস্তের আহাজারি

 

আমার বাংলা টিভি ডেস্ক /রিপন মারমা (কাপ্তাই): রাঙ্গামাটি কাপ্তাই উপজেলার কাপ্তাই ইউনিয়নের ব্যাঙছড়ি মারমা বিস্তৃর্ণ এলাকায় একপাল বন্য হাতির তাণ্ডবে উঠতি আমন ও আউস ধানের ক্ষেত, পাহাড়ের জুম চাষ, ফলের বাগান ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

ব্যাঙছড়ি মার্মা পাড়ার কারবারী মংসুইহ্লা মার্মা জানিয়েছেন, ৬ বছর ধরে ৩০-৫০টি বন্য হাতি ধারাবাহিক ভাবে প্রায় সময় তাণ্ডব চালিয়ে প্রায় ক্ষেতের ধান ও জুম চাষের ক্ষতি করেছে।এলাকার গ্রামবাসী রাতভর আগুন জ্বালিয়ে ও ঢাকঢোল পিটিয়ে ওই হাতির দল তাড়িয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃর্ণ ধানের ক্ষেত, পাহাড়ের জুম চাষ, কলা বাগান, বাশেঁর ঝাড়, বসতবাড়ি ও খামার ঘর দুমড়ে মুছড়ে দিয়েছে বন্য হাতির পাল। প্রত্যেক্ষদর্শীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বন্য হাতির পালে ৩০-৫০টি হাতি ছিল। রাত ধরে চলমান তাণ্ডবে বেশ কিছু ফসলের জমির আইল ভেঙ্গে ফেলেছে। হাতির পালের তাণ্ডবে কাপ্তাই ব্যাঙছড়ি এলাকায় ১১০টি মার্মা পরিবার আতঙ্ক বসবাস করেন। বাগান ও বসতবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা সবাই ব্যাঙছড়ি এলাকার বাসিন্দা।

ব্যাঙছড়ি মারমা পাড়া পরিদর্শন কালে দেখা যায়,জুম চাষি নাম মংহ্লাপ্র মারমা তার ২ কানি জমির ধান, ৫০টি কলা গাছ নষ্ট করেছে বন্য হাতির পালটি। হাতির পালটি এখনো এলাকার আশপাশে অবস্থান করছে বলে জানায়, ব্যাঙছড়ি মার্মা পাড়ার বাসিন্দারা

জুমের ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের সামনে দাঁড়িয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমরা খুবই গরীব। স্বামী-স্ত্রী সন্তান মিলে এবছর পাহাড়ে ২ কানি জুম চাষ করেছি। আর ১০/ দিন পরে জুমের ধান উঠার কথা রয়েছে কিন্তু তার আগে জুমের অর্ধেক ধান বন্য হাতির কবলে পরে নষ্ট হয়েছে আজকে দিনে আপনারা এসে দেখেছেন কিছু ধানের ফসল রয়ে গেছে সেগুলো আজকে কাটা হচ্ছে।

অন্যান্য ফসল আরো ছিল (মারফা, মরিচ, সীম, সিনার, কলা) উঠা শুরু হয়েছে তখন সেসময় হঠাৎ করে বন্যহাতির পাল এসে আমাদের জুমের ক্ষেত একেবারে নষ্ট করে ফেলেছে। একমাত্র আয়ের মাধ্যম নষ্ট হয়ে গেছে। পুরো বছর কিভাবে চলব ? সংসার ও ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ কোথায় থেকে দেব। এইভাবে ফসলের মাঠ ও বাগানের ক্ষতি বর্ণনা দিচ্ছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত মংহ্লাপ্র মারমা এবং তার স্ত্রীর থুইসাংপ্র মারমা।