মামুনুল এর বিষয়ে হেফাজতের কোনো বক্তব্য নেই বাবুনগরী

 

সংগৃহীত ছবি

আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ হেফাজতে ইসলাম-এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনাকে ব্যক্তিগত বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী। এই বিষয়ে হেফাজতের কোনো বক্তব্য নেই বলেও তিনি জানিয়েছেন।

রবিবার (১১ এপ্রিল) চট্টগ্রামের দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে এই কথা বলেন বাবুনগরী।

মামুনুল হক-এর বিষয়ে প্রশ্ন করলে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, তাঁর বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তাঁকে অব্যাহতির বিষয়েও কেউ কোনো কথা বলেননি। যা ঘটেছে তা মামুনুল হকের ব্যক্তিগত বিষয়, হেফাজতের কিছু নয়। এটা এজেন্ডায়ও ছিলো না।

বাবুনগরী বলেন, সরকারের সংগে আমরা যুদ্ধ করবো না। সরকার তার অবস্থানে কাজ করুক, আমরা আমাদের কাজ করবো। সরকারের পতন হেফাজতে ইসলামের উদ্দেশ্য নয়। ইসলামের বিরুদ্ধে যখন আওয়াজ উঠবে তখন হেফাজত কথা বলবে। ইসলামকে হেফাজত করাই আমাদের উদ্দেশ্যে। এই সরকার আরও একশ বছর ক্ষমতায় থাকুক, আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

তিনি অভিযোগ করেন, হেফাজতের নেতাকর্মী, ওলামা ও ছাত্রদের নামে মিথ্যা-ভিত্তিহীন মামলা দেয়া হচ্ছে। যেসব মামলা হয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে। পরীক্ষা নিয়ে আমরা মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করে দিয়েছি। তারপরও প্রতি রাতেই অভিযান চালিয়ে নিরীহ মানুষ, ছাত্রদের হয়রানি ও আটক করা হচ্ছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। সরকার আমাদের কথা না শুনলে ফোরামে আলোচনা করে কর্মসূচি দেয়া হবে।

কওমী আলেমরা সন্ত্রাসী ও জঙ্গি নয় দাবি করে হেফাজতের এই নেতা বলেন, যেসব ছাত্ররা আমাদের অনুমতি ছাড়া বিক্ষোভ করেছে তাদের উপর আমরা অসন্তুষ্ট। তবে মাদ্রাসার ছাত্ররা ভাঙচুর করেনি।

লকডাউন দিয়ে মাদ্রাসা, রমজানে তারাবীহ, ইতিকাফ, জুমআ ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বন্ধ করা যাবে না। কারণ রমজানেই দোয়া কবুল হয়। এই দোয়ার কারণে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাবে দেশ। এই সময় রমজানে মকতব ও হিফজ বিভাগগুলো খোলার অনুমতি প্রদানের জন্য সরকারের কাছে তিনি দাবি জানান।

বাবুনগরী বলেন, কোরআন তিলাওয়াত এবং দোয়ার মাধ্যমে বালা-মুসিবত দূর হয়। সেই হিসেবে দেশের স্বার্থে কওমি মাদ্রাসার কোরআন তিলাওয়াতের পরিবেশ অব্যাহত রাখার অনুমতি প্রদান করা হোক। বৈঠক শেষে আগামী ২৯ মে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন ঘোষণা করা হয়।