রোগী ফেরত দেওয়া মানবতা বিরোধী আচরণ : তথ্যমন্ত্রী

 

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের এই সময়ে সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও হাসপাতাল থেকে রোগীদের ফেরত দেওয়া ‘মানবতাবিরোধী আচরণ’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় তিনি চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানান।

আজ শনিবার মন্ত্রী তাঁর রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে করোনা ইউনিট উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন। amarbangla.tv

ড. হাছান মাহমুদ চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ৫০ বেডের কোভিড ইউনিট স্থাপনের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আজ মা ও শিশু হাসপাতাল যেভাবে এগিয়ে এসেছে, তা অন্যদের জন্য একটি উদাহরণ তৈরি করেছে। কারণ আজকের পত্রিকায়ও আমরা দেখছি, হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভর্তি হতে না পেরে স্ত্রীর সামনে অসহায়ভাবে স্বামীর মৃত্যু ঘটেছে। এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত।’

কোনো হাসপাতাল থেকে রোগীকে এভাবে ফেরত দেওয়া মানবতাবিরোধী কাজ এবং যেসব হাসপাতাল এটি করছে, তারা চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কাছ থেকে শিক্ষা নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সেইসঙ্গে তিনি জানান, সরকার এগুলো পর্যবেক্ষণ করছে এবং সময়মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে করোনার সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে উল্লেখ করে তাদের এ সময় কাজে আসতে না চাওয়াটা কোনোভাবে সমীচীন নয় বলেও মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তারা মানুষকে চিকিৎসা ও সেবাদানের জন্যই লেখাপড়া করেছেন, তাদের হাত গুটিয়ে নেওয়া যুদ্ধের ময়দান থেকে সৈন্য পলায়নের মতো।’

এ সময় পুলিশবাহিনীর উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির পরিবার যেখানে এগিয়ে আসেনি, পুলিশ ও প্রশাসন সেখানে সৎকারের ব্যবস্থা করেছে।’

তথ্যমন্ত্রী এ মহামারি পরিস্থিতিতে গুজব ও আতংক ছড়ানো প্রতিরোধে গণমাধ্যমকর্মীদের অব্যাহত ভূমিকার প্রশংসা করেন ও সবাইকে অহেতুক সমালোচনা পরিহার করে মানুষের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানান। চট্টগ্রামে অন্যান্য হাসপাতালও মা ও শিশু হাসপাতালের মতো দ্রুত এগিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী যেসব ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী এ সময় কাজে আসতে অপারগতা জানিয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি করতে বলেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, এই করোনা ইউনিট চালুর ফলে চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসা একধাপ এগিয়ে গেল।

চট্টগ্রামের করোনা পরিস্থিতি সমন্বয়ক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম মোর্শেদ হোসেনের সভাপতিত্বে পরিষদ সদস্য ও করোনা ইউনিট উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ জাবেদ আবছার চৌধুরী ও ট্রেজারার রেজাউল করিম আজাদ বক্তব্য দেন। শেয়ার করুন।