কিছু মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানতে শৈথিল্য প্রকাশ করছে যা সংক্রমনের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে: ওবায়দুল কাদের।
আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, গণপরিহন নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ পাচ্ছি। এ অবহেলা নিজের জন্যই শুধু নয়, পরিবার, সমাজ তথা অন্যদের জন্যও ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। জনগন সচেতনতার প্রাচীর গড়ে তুলে না পারলে সরকার আরও কঠোর হতে বাধ্য হবে। সংক্রমিত এলাকা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। কর্মপরিকল্পনা পাওয়া গেলে যাচাই বাছাই করে এ বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। যাত্রীদের নিজেদেরও সচেতন থাকার আহবান জানাচ্ছি। না হয় টার্মিনাল এবং বাসযাত্রা হতে পারে সংক্রমণ বিস্তারের কেন্দ্র। আর স্বাস্থ্য বিধি না মানা।
নির্ধারিত ভাড়া থেকে যারা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবার নির্দেশ দিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর অনুরোধ করছি। গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে আমি বিআরটিএসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিচ্ছি।
কাদের বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংকট সমাধানে বিরোধীদলসমূহ নানামুখী উদ্যোগনিয়েছে। কিন্তু বিএনপি সার্কাসের হাতির মতো সমালোচনার বৃত্তেই আবর্তিত হচ্ছে। বিএনপি সংকটকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। এটা তাদের কার্যক্রমে ইতিমধ্যেই পরিস্কার হয়েছে।
ত্রান বিতরনে অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলীয় নেতাকর্মীদের সভানেত্রীর নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। একই সঙ্গে জনগন সচেতনতার প্রাচীর গড়ে তুলতে না পারলে সরকার আরও কঠোর হতে বাধ্য হবে। নিজেরা স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন করতে কাজ করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতিও আহবান জানান তিনি।
বুধবার তার সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। শেয়ার করুন।