মশার উপদ্রব কমাতে নিজ নিজ বাড়ির সামনে রাস্তা এবং আঙ্গিনায় পরিষ্কার রাখার আহ্বান জাহাঙ্গীর আলম দুলাল

আমার বাংলা টিভি ডেস্ক: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এর নির্দেশনায় ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে মশা নিধন অভিযান বাস্তবায়ন কল্পে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি’র সদস্য বিশিষ্ট সমাজসেবক জাহাঙ্গীর আলম দুলালের উদ্যোগে চসিক ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডে মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করা হয়।

১৮ই মে রোজ: রোববার সকাল ৯ঘটিকায় সময অত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের কে নিয়ে ১৩ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ড অফিসের সামনে থেকে শুরু করে পুরো এলাকায় ব্যাপী মশা নিধনের ক্রাশ প্রোগ্রাম উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে আজ টাইগার পাস রেলওয়ে কলোনী, আমবাগান, শফি কলোনী, ভাঙা পোল, বাস্তুহারা কলোনী, গিরি ধারা আবাসিক এলাকা সহ আরো অনেক এলাকায় মশা নিধন অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এই মশা নিধন অভিযান উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির সদস্য বিশিষ্ট সমাজসেবক জাহাঙ্গীর আলম দুলাল ও বিএনপি’র নেতাকর্মী এবং চসিক কর্মকর্তা সহ এলাকার বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় উদ্বোধক জাহাঙ্গীর আলম দুলাল বলেন, আসন্ন বর্ষায় মশার উপদ্রব কমাতে নিজ নিজ বাড়ির সামনে রাস্তা এবং আঙ্গিনায় পরিষ্কার রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন কাহারো একার প্রচেষ্টায় মশা পুরোপুরি নির্মল করা সম্ভব নয় এইজন্য এলাকার সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি নগরবাসীকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শহর করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

তিনি আরো বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে নয় নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে মশা নিধন কার্যক্রম চলমান রাখতে হবে কারণ বর্ষা শুরু হলে বাড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ, আবার তাপমাত্রা বাড়লে বৃদ্ধি পায় কিউলেক্স মশার উপদ্রব। সাধারণত তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর বেশি হলে কিউলেক্সের উপদ্রব বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত সময় এখন এছাড়া কিউলেক্স মশার সাধারণত দূষিত পানিতে জন্মায়।

আজকে মশা নিধক প্রাথমিক কার্যক্রমে ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ড এর জন্য প্রায় নতুন ৫টি ফগার মেশিন ও ১৫টি স্প্রে মেশিন দিয়ে মশা নিধন অভিযান শুরু করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

এছাড়া পূর্বের ব্যবহৃত স্প্রে মেশিন গুলো দিয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট পর্যন্ত দূরে স্প্রে করা যেত। আজকের এই কার্যক্রমে নতুন সংগৃহীত স্প্রে মেশিন দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ ফুট স্প্রে করা যাবে।
ফলে কোন খাল-নালার এক পার থেকে অপর পারে সহজে স্প্রে করা সম্ভব হবে। পূর্ণাঙ্গ মশা ধ্বংসকারী এডল্টিসাইড বর্তমানে সংকট না থাকায় স্প্রে কার্যক্রম চলমান রয়েছে, ফলে শহর জুড়ে মশার উৎপাত কমে আসছে বলে এ নেতা জানান। www.amarbangla.tv শেয়ার