কাপ্তাইয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনা ভাইরাস এর টিকা দেওয়া হবে ৭ আগস্ট

 

আমার বাংলা টিভি ডেস্ক /রিপন মারমা কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি): করোনা নিয়ন্ত্রণে করণীয় নিয়ে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সিদ্ধান্তগুলো জানান কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসীর জাহান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়েও করোনার টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ জন্য ইউনিয়ন পরিষদে টিকাকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও করোনার টিকা কার্যক্রম আরও জোরদার করা নিয়ে গত মঙ্গলবার সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসীর জাহান সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মফিজুল হক।

কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আর এম ও) করোনা ফোকাল পার্সন ডাক্তার ওমর ফারুক রনি তিনি বলেন, এক ইউনিয়নের NID ধারী বাসিন্দা অন্য ইউনিয়নে টিকা নিতে পারবেন না। যারা ইতিমধ্যে করোনা টিকা নিয়েছেন তারা এ কার্যক্রমের বাইরে থাকবেন। -১৮ বছর+ বয়স, কিন্তু NID নেই তাদের ব্যপারে এখনো কোন সিদ্ধান্ত আসে নি।

গর্ভবতী মহিলা ও দুগ্ধদানকারী মা আপাতত টিকা কার্যক্রমের বাইরে থাকবেন। যে কোন দীর্ঘমেয়াদি রোগে (ডায়াবেটিস, হাইপ্রেশার, এলার্জি) আক্রান্ত ব্যক্তি টিকা নিতে পারবেন, তবে রোগ নিয়ন্ত্রণ এ থাকা বাঞ্চনীয়।

কাপ্তাই উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মফিজুল হক জানান, নিয়মিত টিকা কার্যক্রমের পাশাপাশি আগামী ৭ আগস্ট শনিবার থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনা টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক, ৭ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত যে কোন ৩ দিন (ইউনিয়ন ভেদে দিন ভিন্ন হতে পারে) এ কার্যক্রম চলবে। প্রতি ইউনিয়নে প্রতিদিন ৬০০ জন, ৩ দিনে সর্বমোট ১৮০০ জনকে এ টিকা দেয়া হবে। ১৮ বছরের বেশি বাংলাদেশি নাগরিক কাপ্তাই উপজেলার NIDধারী বাসিন্দারা নিজ নিজ ইউনিয়নের কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। এ সংক্রান্ত কিছু নির্দেশনার ব্যপারে সকলের মনোযোগ কামনা করেন।

কাপ্তাই এ বর্তমানে করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। টিকা নেয়া, মাস্ক পরিধান করা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নেই।

সেসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন, চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খ্যাংসা অং মারমা,কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ, চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম বেবী,রাইখালী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এনামুল হক, ওয়াগ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চিরঞ্জিত তঞ্চঙ্গ্যা,সাংবাদিক সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী জনপ্রতিনিধি গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।