নারী ও শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদে, মানব বন্ধন ও প্রতীকী ফাঁসি মঞ্চায়ন

নারী ও শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদে, মানব বন্ধন ও প্রতীকী ফাঁসি মঞ্চায়ন।

আমার বাংলা টিভি ডেস্ক/ মনিরুজ্জামান মুন্না, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ দেশে সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত নারীর প্রতি নির্যাতন, ধর্ষণ ও ববরর্তার মানবিক প্রতিবাদ জানিয়েছে পত্নীতলা উপজেলা সমিতি(পউস),পত্নীতলা, নওগাঁ।

আজ বৃহস্পতিবার ৮ অক্টোবর, পত্নীতলা উপজেলার প্রাণকেন্দ্র নজিপুর বাসস্ট্যান্ডে ‘পউস’ একটি “মানব বন্ধন ও প্রতীকী ফাঁসি মঞ্চায়ন ” আয়োজন করে। উক্ত মানববন্ধনে সহমত পোষণ করে নজিপুর ক্রিকেট ক্লাব।

উক্ত আয়োজনের সভাপতিত্ব করেন, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আব্দুল খালেক চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামীলীগ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, শহিদুল ইসলাম। আরো উপস্থিত ছিলেন,আব্দুল আহাদ(রাহাত), ভাইস-চেয়ারম্যান, পত্নীতলা উপজেলা পরিষদ।
উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক, বজলুর রশিদ।

এসময় পউসের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন,
সিফাত রিজভী(তরুণ উদ্যোক্তা, সাবেক শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়),  মুনমুন সওদা (শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)  অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শিহাব আল মশিউর নহর (শিক্ষার্থী, BGMEA University of Fashion & Technology)

এসময় বক্তারা ধর্ষক-কে ‘৪র্থ লিঙ্গের অযাচিত প্রাণী’ বলে আখ্যায়িত করে বলেন,
” ধর্ষণ আজ একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে এই ব্যাধি নিরাময় যেমন প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা তেমনি প্রয়োজন শাস্তির কঠোরতা। বিচারের দ্রুততম সুনিশ্চয়তা এবং সামাজিক উৎকর্ষতা সাধনের মাধ্যমে এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সমাধন সম্ভব।”

উক্ত আয়োজন থেকে বক্তারা, ১৪ দফা দাবী পেশ করেন,

১. ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ।
২. নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের শতভাগ প্রয়োগ।
৩. ১০ কার্যদিবসের মাঝে চার্জশিট দাখিল।
৪. ৬০ কার্যদিবসের মাঝে বিচার প্রক্রিয়া সমাপ্তিকরণ।
৫. মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এবং পাবলিক প্রসিকিউটরের মাঝে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে বিচার কার্য সহজতম করা।
৬. নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন।
৭. দেশের সর্বত্র মেডিকেল ফরেনসিক বিভাগ
উন্নতকরণ।
৮.ভুক্তভোগীর শিক্ষা,চিকিৎসা ও সামাজিক মর্যাদা রক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ।
৯. ধর্ষণ মামলা পশ্চাৎপদ করার জন্য যদি কেউ প্রভাবক স্বরূপ আবির্ভূত হয় তাহলে তাকেও আইনের আওতায় এনে শাস্তির বিধান করা।
১০. ধর্ষণ মামলার ভুক্তভোগী ও সাক্ষীর নিরাপত্তা বিধান সুনিশ্চিত করা।
১১. আসামি পক্ষের আইজীবীদের সংযত আচরণ করা।
১২. ইভটিজিং প্রতিরোধে পুলিশের বিশেষ সেল গঠন এবং আঞ্চলিক বখাটেদের উপরে নিয়ন্ত্রণ আনয়ন।
১৩. নারীদের সিলাই প্রশিক্ষণের মতো সরকারিভাবে ক্যারাটে সহ আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
১৪. ‘ধর্ষণ’ জামিন অযোগ্য মামলা বলে বিবেচনা করা।

মানববন্ধনে, শিক্ষার্থীরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন প্রতিবাদ জানায়। সেই সাথে সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানায় যেন ধর্ষণের আইন সংশোধ করে এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা হয়।

মানব বন্ধন শেষে একটি প্রতীকী ধর্ষককে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়। এই প্রতীকী ফাঁসির মাধ্যমে তাঁরা জানাতে চান যে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড শুধু নয় বরং মৃত্যুদণ্ড হওয়া দরকার।