আমার বাংলা টিভি ডেস্ক /রিপন মারমা রাঙ্গামাটিঃ কোরবানির ঈদ সামনে রেখে রাঙামাটি বিভিন্ন এলাকায় জমে উঠেছে পশুর হাট। প্রায় প্রতিদিনই হাটেই বাড়ছে গরুর সংখ্যা। পাশাপাশি উঠছে ছাগল ও ভেড়াও। হাটে প্রতিনিয়ত ভিড় বাড়ছে ক্রেতা দর্শনার্থীদের। তবে বিভিন্ন সাইজের গরু থাকলেও ক্রেতাদের চাহিদা মাঝারিতে।
বিক্রেতারা জানান, ভিড় বাড়লেও খুব একটা ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। অল্প সংখ্যক বিক্রি হলেও মাঝারি সাইজের গরু নিচ্ছেন ক্রেতারা। বড় গরুর কেউ কিনতে চাইছেন না। ক্রেতারা মাঝারি সাইজের গরুর দিকে ঝুঁকছেন বেশি।
ক্রেতারা জানান, ঈদের এখনো তিন দিন বাকি। এখন গরু কিনলে বাড়িতে রেখে লালন-পালন কষ্টসাধ্য। ঈদের -একদিন আগে গরু কিনলে বাড়িতে রাখা সহজ হবে। তাই শেষ দিকে গরু কেনার অপেক্ষায় আছেন তারা। তবে গতবারের চেয়ে গরুর দাম বেশি।
জেলার বিভিন্ন হাটে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি হাটে প্রায় ১৫০০থেকে ২০০০ হাজার গরু-ছাগল উঠেছে। মাঝারি সাইজে গরু কিনছেন বেশিরভাগ ক্রেতাই। ফলে হাটে প্রকারভেদে গরু বেচাকেনা হচ্ছে ৪৫ থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে কিছুটা হতাশ দেখা গেছে ক্রেতাদের।
এদিকে কাপ্তাই , হাটে প্রচুর দেশি গরু উঠলেও দাম আকাশ ছোঁয়া। গতবার যে গরু ৫০ হাজার টাকা ছিল সেই গরু বর্তমানে ৬০ হাজার টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। গো-খাদ্য, খড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় গরুর দামও বেড়েছে। তবে গরু বিক্রেতার চাইতে হাটে গরুর দালাল বেশি।
কাপ্তাইয়ে বড় হাটে গরু কিনতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন, ‘গরু কিনতে গিয়ে দালালের খপ্পরে পড়ে গেছি। গরুর দাম ফেলার পর প্রকৃত গরুর মালিকের দেখা পাই। কিন্তু তার আগেই দালালকে গরুর দাম ৪ হাজার টাকা বেশি দিয়েছি।’
রাঙামাটি সদর হাটে গরু কিনতে আসা হাসান বলেন, ‘মাঝারি সাইজের গরুর দাম গতবারের চেয়ে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা বেড়েছে। হাটে আসা বিরক্তিকর তাই আজই কিনে ফেললাম।’
এবার গরুর দাম অনেক বেশি এরপরও গরু কিনতে হবে। এবার হাটগুলোতে সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে বেশি করে টোল আদায় করছে ক্রেতাদের কাছ থেকে।’
ছাগল কিনতে আসা এক নারী বলেন, ‘এবার ছাগল কোরবানি দিবো। তাই আগেভাগে কাপ্তাই হাটে এসেছি ছাগল কিনতে। কিন্তু দাম অনেক বেশি। ২০ কেজি ওজনের একটি ছাগল ১৯ হাজারে কিনতে হলো।
কাপ্তাই হাটের ইজারাদার মনির জানান, প্রতি হাটেই প্রতিদিন বাড়ছে গরু আমদানি। বেচা বিক্রিও ভালো। গতবারের চেয়ে এবার দাম কিছুটা বেশি হলেও গরুর চেহারা অনেক ভালো। গো-খাদ্যের দাম কমানো গেলে ভবিষ্যতে দেশি গরু দিয়ে কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, হাটে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে রয়েছে পুলিশের মোবাইল টিম।এছাড়া হাট কমিটির পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।