আরও এক সপ্তাহ কঠোর লকডাউন বাড়ানোর সুপারিশ

 

আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ আরও এক সপ্তাহ কঠোর লকডাউনের সুপারিশ দিয়েছে কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। সেইসাথে, করোনার উচ্চ সংক্রমণ ও ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর হারে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

রবিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩১তম সভা জুমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভা থেকে লকডাউনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ দেয়া হয়। বলা হয়, পরবর্তী সপ্তাহ শেষ হবার আগে সংক্রমণের হার বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে।

সোমবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ধীরে ধীরে লকডাউন শেষ করার পূর্ব পরিকল্পনা তৈরির রাখার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈজ্ঞানিকভাবে দুই সপ্তাহের কম লকডাউনে কার্যকর ফলাফল আশা করা যায় না। এজন্য জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি কমপক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন সুপারিশ করেছিল। সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের লক ডাউন ঘোষণা করায় কমিটি সন্তোষ প্রকাশ করেছে ।

লকডাউনের সময় স্বাস্থ্যসেবা, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি । খোলা রাখা যাবে এমন জরুরি সেবার তালিকা প্রকাশ করারও অনুরোধ জানানো হয়েছে। তা না হলে বিরূপ পরিস্থিতির আশংকা রয়েছে উল্লেখ করে সম্প্রতি চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের চলাচলে বাধা ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিষয় সভায় তুলে ধরা হয় ।

কাঁচা বাজার আবারও উন্মুক্ত স্থানে বসানোর প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় কমিটি ।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “দেশের অর্থনীতি সচল রাখার স্বার্থে শিল্প-কলকারখানা খোলা রাখার বিষয়টি কমিটি উপলব্ধি করে। তবে, বেসরকারী দপ্তর, ব্যাংক খোলা রাখা, ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যক্তিগত গাড়ী চলাচল, ইফতার বাজারে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ভিড় লকডাউনের সাফল্যকে অনিশ্চিত করে।”

রবিবার রাতে অনুষ্ঠিত ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা ।

করোনার সংক্রমণ আচমকা বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ বছর ৫ এপ্রিল থেকে প্রথম দফায় সাত দিনের ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ জারি করে সরকার। এর ধারাবাহিকতা চলে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত। ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় দ্বিতীয় দফা কঠোর নিষেধাজ্ঞা। এটি চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ।