স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ ও স্বাস্থ্য মহাপরিচালনের বরখাস্তের দাবি বিএনপির
আমার বাংলা টিভি ডেস্ক : দলটি বলছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির পদত্যাগ নয় তাকে বরখাস্ত করা উচিত ছিল। শুধু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নয় এর সঙ্গে যারা জড়িত আছেন, যারা ভুল তথ্য দিয়েছেন জনগণকে এবং সরকার তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। এই অন্যায়ের দায়দায়িত্ব সরকারের উপর বর্তায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তরার নিজ বাসভবন থেকে ভার্চূয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি শুধু মহাপরিচালকের পদত্যাগ নয় তার বিচার একইসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, এটা অত্যন্ত যৌক্তিক দাবি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে অধিকাংশ কোভিড হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ নেই বলে জানা গেছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই দুর্নীতি শুরু হয়েছে। সরকারের আশীর্বাদপুষ্টদের কাছে করোনা যেন এক আশীর্বাদ রূপে আবির্ভূত হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণ এবং পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা বিভিন্ন সময়ে প্রস্তাবনা দিয়েছি কিন্তু সরকার তা গ্রহণ করেনি। বিশেষ করে করোনার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকদের দিয়ে একটা টাক্সফোর্স গঠন করা উচিত ছিলো। কিন্তু যেটা তৈরি করা হয়েছে সেখানে শুধু দলীয়করণ করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের জনগণের সামনে খুব পরিষ্কার হয়ে উঠেছে এই সরকার শুধুমাত্র দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই এই ভয়াবহ মহামারি মোকাবেলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে আজকের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আগেও বলেছি আমরা আমাদের সীমিত সাধ্য ও ক্ষমতার মধ্য দিয়ে বিএনপি এবং এর সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত আছেন বিশেষ করে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো তারা তাদের সীমিত সাধ্যের মধ্যে দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য মাঠে এখনো আছেন। তারা ইতিমধ্যেই যথেষ্ট কাজও করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সংযুক্ত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও করোনা সেলের প্রধান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসেনের উপদেস্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন-অর-রশীদসহ অনেকে। শেয়ার করুন।