ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করে রেখেছে সরকার ডাঃ শাহাদাত

 

আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক ডা, শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে আজকে তিন বছর আটক করে রেখেছে সরকার।

তিনি বর্তমানে বাসায় থাকলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি মুক্ত নন। একটি বানোয়াট মিথ্যা মামলায় তাঁকে সাজা দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার হীন উদ্দেশ্যে সরকার এই মামলা করেছে। তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য, খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য এ ধরনের মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিয়েছে।

তিনি দীর্ঘদিন থেকে গুরুতর অসুস্থ। কিন্তু তারপরও এই অমানবিক সরকার বিভিন্ন কৌশলে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন প্রক্রিয়া বারবার বাধাগ্রস্ত করেছে। কারণ বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তাকে এই সরকারের সবচেয়ে বেশি ভয়। এজন্য তাকে এখন গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।

তিনি সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারী) বিকালে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে বেগম খালেদা জিয়াকে তিন বছর কারাবন্দি রাখার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তবে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকারের অব্যাহত ভোট কারচুপি ও নির্যাতন নিপীড়নে দেশপ্রেমিক গণতন্ত্রকামী জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখনই প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার জামিন ও চিকিৎসা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার মাশুল সরকারকে একদিন দিতে হবে। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার পরিপূর্ণ মুক্তির আন্দোলনে চট্টগ্রামবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহবান জানান।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে সরকার তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপিকে নির্মূল করার ভয়াবহ চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াসিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মো: মিয়া ভোলা, এড. আব্দুস সাত্তার, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দীন, মো, শাহ আলম, ইসকান্দার মির্জা, আহবায়ক কমিটির সদস্য শামসুল আলম, হারুন জামান, মোঃ আলী, এড. মফিজুল হক ভুইয়া, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, নগর মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারন সম্পাদক জেলী চৌধুরী, নগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, থানা বিএনপি’র সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, হাজী বাবুল হক, হাজী মোঃ সালাউদ্দীন, মোঃ সেকান্দর, হাজী মোঃ হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মোঃ শাহাবুদ্দিন, জাহিদুল হাসান, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আব্দুল কাদের জসিম, হাবিবুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি আকতার খান, এসএম মফিজ উল্লাহ, আলাউদ্দিন আলী নূর, ফয়েজুল ইসলাম, হাজী মোঃ ইলিয়াছ, রফিক উদ্দিন চৌধুরী, জমির আহমেদ, ফারুক আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, খাজা আলাউদ্দীন, মোহাম্মদ বেলাল, মোহাম্মদ আজম, সাধারন সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, এস এম আবুল কালাম আবু, নাসিম আহম্মেদ, সৈয়দ আবুল বশর, আবু ফয়েজ, আশরাফ খান, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, হাজী মোঃ জাহেদ, মন্জুর মিয়া, মোঃ হাসান, মামুন আলম, মন্জুর কাদের, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মনিরুজ্জামান টিটু, নুরুল হক, জিয়াউর রহমান জিয়া, তারিকুল ইসলাম তানভীর, সামিয়াত আমিন জিসান প্রমুখ।