আমার বাংলা টিভি ডেস্ক /রিপন মারমা রাঙ্গামাটঃ রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলের সদস্য বৃহত্তর চট্টগ্রামের পাঁচ ফুটবলারকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় দিকে ঘাগড়া বাজারে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
কৃতী এই পাঁচ ফুটবলাররা ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ সময় ফুটবলাররা আজকের সাফল্যের পেছনে এই বিদ্যালয়ের কথা স্মরণ করে এটিকে সরকারি করার দাবি করেন পাঁচ ফুটবলাররা ।
রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার পাহাড়ি এক গ্রামে অবস্থিত ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়। যাকে বলা হয় নারী ফুটবলার তৈরির সূতিকাগার। সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের পাঁচ খেলোয়াড় উঠে এসেছেন ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। এখানে প্রতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ফুটবল খেলার হাতেখড়ি সাফজয়ী দলের বৃহত্তর চট্টগ্রামের পাঁচ ফুটবলাররা। তারা হলেন– রাঙামাটির রুপনা চাকমা ও ঋতুপর্ণা চাকমা এবং খাগড়াছড়ি জেলার মনিকা চাকমা, যমজ দুই বোন আনাই মগিনী ও আনুচিং মগিনী ।
ফুটবলাররা বিদ্যালয়ে পৌঁছলে প্রথমে প্রধান শিক্ষক কেক ও মিষ্টি খাওয়ান। পরে তারা স্কুল প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়ান এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছবি তুলে সময় কাটান।
ঋতুপর্ণা চাকমা গণমাধ্যম’কে বলেন,এই স্কুলের শিক্ষকরা অনেক কষ্ট করে আমাদের লেখাপড়া ও খেলাধুলা শিখিয়েছেন। আমরা তাদের কাছে ঋণী । আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি করছি, এই স্কুলটা যেন সরকারি করে দেওয়া হয়।রুপনা চাকমা বলেন, আমাকে ঘর করে দেওয়ার জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিv কৃতজ্ঞ। এখন এই স্কুলটি সরকারি হলে আমরা পাঁচ জন খুবই খুশি হবো। এই স্কুলের কারণে আজ আমরা এই সাফল্য পেয়েছি ।
ফুটবলার মনিকা চাকমা গণমাধ্যম’কে বলেন, আমাদের এভাবে সড়কে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা দেওয়া হবে সেটা চিন্তা করতে পারিনি। এই স্কুলে কয়েক বছর আগে পড়ালেখা শেষ করেছি। তখন শিক্ষকরা কত শাসন করেছিলেন আর আজ তারাই বরণ করছেন, বিষয়টি চিন্তা করতেই অন্যরকম লাগছে ।
এ সময় ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দ্রা দেওয়ান, ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন, কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজসহ স্কুলে চার শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।স্কুল শিক্ষার্থীরা বরণ করে নেওয়ার পরে ঘাগড়া থেকে রাঙামাটি দিকে শোভাযাত্রা করা হয় । www.amarbangla.tv