শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য দুটিতেই একেবারেই নিম্ন পর্যায়ে আমির খসরু

ডেমোগ্রাফিকে আমরা বিশ্বে ভালো অবস্থানে থেকেও স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা খাতে দূর্বলতার কারণে সুবিধা নেওয়া যাচ্ছে না : আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী

আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ বিএনপির নীতিনির্ধারক বলেন, যে কারণে আমাদের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট সুবিধা পাওয়ার কথা আমরা তা পাচ্ছি না। আমাদের বেশিরভাগ মানুষ এখনো যুবক। যাদের বয়স কম যারা কাজে লাগতে পারে। সেখানে পশ্চিমা দেশগুলো তাদের বয়োবৃদ্ধের সংখ্যা বেড়ে গেছে। যুবকদের সংখ্যা কমেছে। কিন্তু বাংলাদেশে তার উল্টো চিত্র।

তিনি বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি এর মান এত নিচে নেমে গেছে। সেখানে একটি শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলে তা মানবসম্পদে পরিণত করা সেটাও আমরা করতে পারছি না। বড় ধরনের দুর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থাও ধস।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এটাকে মানব সম্পদে পরিণত করতে হলে সত্যিকার অর্থে একটি স্বাস্থ্যবান শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু বিশ্বে যে ক্যাবলগুলো আছে সেখানে আমরা শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য দুটিতেই একেবারেই নিম্ন পর্যায়ে। সুতরাং এখানে বিনিয়োগ যদি করতে না পারলে ক্ষতিটা আমাদের দেশের হবে। আমরা যে জায়গায় পৌঁছেছি সেখান থেকে তুলে আনতে হলে প্রচুর বিনিয়োগ দরকার। সত্যিকার অর্থে সঠিক বিনিয়োগ। amarbangla.tv

স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জাতির ফাউন্ডেশন হচ্ছে এই দুই জায়গায়। এ কারণে হিউম্যান রিসোর্স ডেভলপ করতে গেল শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য হচ্ছে মূল বিনিয়োগের জায়গা। আমরা বলেছি জিডিবির ৫% শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ করতেই হবে এর কোন বিকল্প নেই। কিন্তু তার কোনো লক্ষণ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। বরঞ্চ বিনিয়োগ যেসব জায়গায় হচ্ছে বড় বড় দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা সব চলে যাচ্ছে বাইরে। সঠিক জায়গায় আমরা বিনিয়োগ করতে পারিনি, পারছি না। এই জায়গাগুলোতে আমাদেরকে নজর দিতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা সরকারকে যে প্যাকেজটি দিয়েছি সেখানেও আমরা পরিষ্কার ভাবে বলেছি ব্রেকডাউনগুলো কোথায় কিভাবে দিতে হবে। কোথায় বিনিয়োগ করতে হবে।

বাজেট ভাবনা নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ কথা বলেন। amarbangla.tv

এর আগে তিনি চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। 

জনগনের চিকিৎসা সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার চট্টগ্রামসহ সারাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

তিনি ২৮ মে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এই পরিস্থিতির জন্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করেন।

তিনি বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সারাদেশে মহামারী আকার ধারন করেছে। চট্টগ্রামে দিন দিন করোনা সংক্রমিত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সরকার করোনা মোকাবেলা ও জনগনের চিকিৎসা সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়েছে। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে বেডের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। সরকারের ব্যর্থতার কারনে দিন দিন স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনার চিত্র ফুটে ওঠেছে। মানুষের মধ্যে এখন মৃত্যু আতঙ্ক বিরাজ করছে। amarbangla.tv

আমীর খসরু বলেন, চট্টগ্রামের হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীরা ন্যূনতম চিকিৎসাসেবাও পাচ্ছে না। চিকিৎসার অভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে। হাসপাতালে গিয়েও করোনার রোগীরা ভর্তি হতে পারছেনা। চট্টগ্রামের অধিকাংশ করোনা হাসপাতালে অক্সিজেন ও সিলিন্ডার সংকট রয়েছে। পর্যাপ্ত আইসিইউ’র ব্যবস্থা নেই। চিকিৎসার জন্য মানুষ এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটছে। কিন্তু সময় উপযোগী পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেনা। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় যে আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম দরকার সেটাও দেয়নি সরকার।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে করোনা রোগীদের সেবা দিতে সরকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে মৃত্যু ও সংক্রমণ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে চট্টগ্রামের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তিনি করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

স্থায়ী কমিটির সদস্য আরো বলেন, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে যারা মৃত্যু বরণ করেছেন তাদের শোকাহত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান। এছাড়া তিনি চিকিৎসক, সাংবাদিক, আইনশৃংখলা বাহীনি ও প্রসাশনসহ চট্টগ্রামের যারা করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন তাদের আশু রোগ মুক্তি কামনা করেছেন। শেয়ার করুন।