কথা বলছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী
আমার বাংলা টিভি ডেস্ক : সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, লক্ষ লক্ষ জীবনের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা এনেছি গণতন্ত্রের জন্য, কথা বলার জন্য। কিন্তু আজকে এ পরিস্থিতি কেন? মিছিল করা যায় না, কথা বলা যায় না। কথা বলতে গেলে, ভিন্ন মত প্রকাশ করলে গুম হতে হয়, গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। বাংলাদেশ এখন অমানবিক রাষ্ট্রের একটি দৃষ্টান্ত। এখানে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায় না।
শুক্রবার (২৬ জুন) ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া আব্দুল আলীম নকীসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। amarbangla.tv
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে গুমের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দিবস পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশে গুম হচ্ছে, বিচার বহির্ভূত হত্যা হচ্ছে, এসব অপকর্মের সঙ্গে রাষ্ট্র জড়িত। মানব বিধ্বংসী কাজের সঙ্গে রাষ্ট্র জড়িত। ভিন্ন মতাবলম্বীদের উপর চলছে নৃশংস আক্রমণ, অত্যাচার, অমানবিক কর্মকাণ্ড। ভিন্ন মতকে দমন করার জন্য রাষ্ট্রের সব যন্ত্র প্রয়োগ করা হচ্ছে। যে দেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিত, সেখানেই এ কাজ হয়। এর সবচেয়ে বড় বহিঃপ্রকাশ বাংলাদেশ। আমাদের ছেলেরা হারিয়ে যাচ্ছে, গুম হচ্ছে, একের পর এক নিরুদ্দেশ হয়ে যাচ্ছে।
‘আজকে মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। এ রকম তো হওয়ার কথা ছিল না। দেশে বিরোধী দল থাকবে, সরকারি দল থাকবে। আজকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা থাকে জেলখানায় আর সরকারি দলের নেতাকর্মীরা দুর্নীতি লুটপাট করে সারা দেশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাহলে কি এই দুর্নীতি-লুটপাটের জন্যই বিরোধী দলকে দমন করা হচ্ছে, গুম করা হচ্ছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে? গোটা রাষ্ট্রের সম্পদ আত্মসাৎ করার জন্যই কি এগুলো করা হচ্ছে? একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু রেখেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন দেন না, রাতের অন্ধকারে ভোট চুরি করছেন। এটা চলতে পারে না।’ amarbangla.tv
এ পরিস্থিতিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, গণতন্ত্রের জন্য যারা লড়াই করছেন, তারা সত্যের পথে আছেন। আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার অনুপ্রেরণায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে যাচ্ছি। তিনি নিজে নির্যাতন সহ্য করেছেন, যন্ত্রণা ভোগ করেছেন, তারপরও মাথা নত করেননি।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনসী বজলুল বাসিত আঞ্জু, সহ-সভাপতি মাসুদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, দপ্তর সম্পাদক এবিএম রাজ্জাক, ঢাকা মহানগর যুবদল উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। শেয়ার করুন।