১০ নং উওর কাট্টলী ওর্য়াডে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণ করছেন কাউন্সিলর ডক্টর নিছার উদ্দিন আহমেদ মন্জুসহ নেতৃবৃন্দ।
আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ চট্টগ্রাম সিটিকরপোরেশনের ১০ নং উওর কাট্টলী, পূর্ব দাশ পাড়া, জ্বালা কুমারী মন্দির এলাকায়, ওর্য়াড কাউন্সিলর ডক্টর নিছার উদ্দিন আহমেদ মন্জু প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণ করছেন।
এসময় নিছার উদ্দিন আহমেদ মন্জু বলেন, লক ডাউনের চারমাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন অভুক্ত নাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারী ত্রান-সাহায্য সর্বত্রই পৌঁছে যাচ্ছে। সারাদেশে জনপ্রতিনিধিদের তালিকা করে তাঁদের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে এই উপহার সামগ্রী। প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এছাড়া এক কোটি মানুষের মধ্যে রেশন কার্ড করা হয়েছে। ৫০ লাখ মানুষের জন্য নগদ সহায়তা কর্মসূচি চালু হয়েছে। এতে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। এই উদ্যোগে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে গ্রামীণ অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
তিনি আরো বলেন, সরকারের বাইরেও জননেত্রীর নির্দেশনায় দলের অনেকেই লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত ত্রান সামগ্রী নিয়ে জনগণের পাশে দাড়িয়েছে। আমিও ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিদিন মোবাইল এসএমএস ও সরাসরি ভোগ্যপন্য বিতরণ অব্যাহত রেখেছি। আর ত্রাণ নিয়ে দূর্নীতিগ্রস্থদের এই আওয়ামী লীগ সরকারই গ্রেফতার করছে, সুতরাং অপপ্রচার করে লাভ নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে আমরা এই যুদ্ধেও বিজয়ী হবো।
সে বলেন, আমাদের মানবিক সংগঠক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও দলের নিবেদিত নেতারা অকাতরে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন দেখে সমাজের একটি মহল ঈর্ষানীত হয়ে নানা প্রকার অপপ্রচার ও গুজব রটাচ্ছেন। সত্যিকার অর্থে খাদ্য সংকট, খাদ্য প্রাপ্তি সংকট, এসব ভীতি যারা দেখাচ্ছে তারাই ভুল প্রমাণিত হবে। করোনা ভাইরাসজনিত কারণে সৃষ্ট সঙ্কটে ক্রাইসিস ম্যানেজার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হতদরিদ্র মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরনকালে এসব কথা বলেন।
মন্জু বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় সকল খাতেই বাংলাদেশ অপরাপর দেশগুলির তুলনায় দ্রুত আগাচ্ছিল। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থা, থিংকট্যাক গবেষনা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের
মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ২০২০ সালে অন্যান্য দেশের তুলনায় সর্বাধিক হবে বলে ভবিষ্যবাণী করেছিল। কিন্তু এই অবস্থায় আমরা কোথায় গিয়ে দাড়াবো তা অনুমান করা মুশকিল। চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পরও কোন মানুষ না খাইয়ে আছে বলে অন্তত কেউ বলতে পারবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত কমিটির প্রতিনিধ জগদীশ বাবু, শিবু বিশ্বাস, প্রদীপ কুমার নাথ, হারুন প্রমূখ। শেয়ার করুন।