পঙ্গপাল নয়, পর্যবেক্ষক দল পাঠানো হয়েছে : কৃষি মন্ত্রণালয়

টেকনাফের পোকাগুলো ছোট শিংযুক্ত ঘাসফিড়িংয়ের একটি প্রজাতি: সংশ্লিষ্টরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সংশ্লিষ্টরা জানান, পঙ্গপালের ১১টি প্রজাতি রয়েছে। এদের তিনটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকে। অনেকদূর পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে, প্রচুর পরিমান খেতে পারে এবং প্রজনন ক্ষমতা অনেক বেশি। যার কোন গুণাগুণ টেকনাফে পাওয়া পোকাগুলোর মধ্যে নেই।

আরো জানান, পঙ্গপাল পাকিস্তানে দেড় মাস আগে আসলেও বাংলাদেশে না আসার বড় কারন আমাদের আবহাওয়া। যা পঙ্গপালের জন্য মোটেও উপযুক্ত না। পঙ্গপালের জন্য উপযোগী আবহাওয়া শুস্ক ও গরম আবহাওয়া। আমাদের বর্তমান আদ্রতা ৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তারা বলছেন, পতেঙ্গার পোকাগুলো লাফিয়ে চলে, উড়তে পারে না। সাধারনত ঘন ঝঙ্গলে পাতার উপর দল বেধে এরা বসে থাকে। তাদের দাবি, করোনার কারনে মানুষের আনাগোনা কমে যাওয়ায় লোকালয়ে এদের উপস্থিতি প্রকাশ পেয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয় বলেছে, ইতোমধ্যে অধিদফতরের কক্সবাজারের উপ-পরিচালক ও স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে কীটনাশক প্রয়োগ করে পোকাগুলো দমন করেন। শুক্রবার (১ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় কৃষি মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার সকালেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত¡বিদদের সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি দল টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এবং বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) থেকেও পৃথক টিম যাচ্ছে।