অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
আমার বাংলা টিভি ডেস্ক : রোববার (৫ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, কোভিডে মোট মারা গেছেন ২০৫২ জন। মোট শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৩ হাজার ৪১৭ জন। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩৭ জন, নারী ১৮ জন। ঢাকা বিভাগে ১৯ জন চট্টগ্রামের ১৩ জন, রাজশাহীতে ১ জন, ময়মনসিংহের ১ জন, বরিশাল বিভাগের ৫ জন, খুলনায় ৬ জন এবং অন্যান্য বিভাবে ১০ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। amarbangla.tv
তিনি জানান, মৃতদের বয়স ভিত্তিক বিশ্লেষণে ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৩ জন এবং ১ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১ জন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৪১ জন এবং বাসায় ১৪ জন।
তিনি জানান, ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে মোট ৬৮ টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৯৬৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১৩৯৮৮ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮ লাখ ৪৬ হাজার ৬২ জনের। নমুনা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ। amarbangla.tv
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৯০৪ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৭২৬২৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৪ দশমিক ৭২ শতাংশ।
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনের নেওয়া হয়েছে ৪৪৯ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনের আছেন ৩০ হাজার ৮৭২ জন। এছাড়া আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪৮৩ জন, এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৫৭ জন। বর্তমানে মোট আইসোলেশনে আছেন ১৬ হাজার ৭১৫ জন। amarbangla.tv
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। শেয়ার করুন।