দুই দিনে মাল্টার দাম বাড়লো ৬০ টাকা!

দুই দিনে মাল্টার দাম বাড়লো ৬০ টাকা!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রমজানে বিশ্বের অনেক দেশে খাদ্যপণ্যের মূল্যছাড়ের হিড়িক পড়ে যায়। ব্যবসায়ীরা অন্যান্য মাসে লাভ করলেও এ সময়টায় দিতে চান শুধু সেবা। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান পুরো বিপরীত। রমজানে বাংলাদেশে পাল্টা পণ্যে দাম বাড়ানোর হিড়িক পড়ে। অধিকাংশ পণ্যের সঙ্গে সেই হিড়িক পড়েছে ফলের বাজারেও।

বর্তমানে প্রায় সব ফলের দামে আগুন। বেড়ে কোনো কোনো ফলের দাম প্রায় দ্বিগুণ। আবার প্রায় তিনগুণও হয়েছে কয়েকটি ফলের দাম। ইফতারের গুরুত্বপূর্ণ পদ মাল্টাতে দামটা এমনই দেখা গেলো। রমজানকে কেন্দ্র করে বর্তমানে ৮০ টাকার মাল্টা একম টাকা বেড়ে পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে, খুচরো বাজারে তা মিলছেনা ২০০ টাকার কমে।

রমজানের আগে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা এক কেজি মাল্টার পাইকারি দাম ছিল ৮০ টাকা। অথচ রমজান আসার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে এই মাল্টাই প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ফলের আড়ত “ফলমুণ্ডি” তে এভাবেই মাত্রাতিরিক্ত দামে মাল্টা বিক্রির প্রমান পেয়েছেন জেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম ও সেনাবাহিনীর মেজর মোবাশ্বির।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের অভিযোগ ছিল যে, নগরের ফলমণ্ডিতে পাইকারি ফল ব্যবসায়ীরা মাল্টার দাম গত এক সপ্তাহ যাবত মাত্রাতিরিক্ত বেশি রাখছে। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত ফলমণ্ডিতে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় অভিযানে দেখা যায়, ফলমণ্ডির অধিকাংশ আড়তদাররা তাদের দোকানে ফল আমদানির তথ্য, কাদের কাছ থেকে কি দামে এনেছে সে সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র (ইনভয়েস, রশিদ) সংরক্ষণ করছে না।’

তিনি বলেন, ‘ আরতদারদের থেকে তথ্য যাচাই করে দেখা গেছে, এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে পাইকারিতে মাল্টার কেজি ছিলো ৮০ থেকে ৯০ টাকা। রমজানকে সামনে রেখে সেই দাম ধাপে ধাপে ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বাড়ানো হয়। কিন্তু রমজান শুরুর মাত্র দুই দিন আগে বৃদ্ধি ২২ শে এপ্রিল থেকে হটাৎ করে একলাফে মাল্টার দাম ১৬০ টাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যা খুচরায় ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’

এসব অভিযোগ মেসার্স মক্কা ফল বিতান এবং মেসার্স গরীবে নেওয়াজ ফার্ম এই দুটি আড়ত মালিককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ মোতাবেক ২০ হাজার করে মোট ৪০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, ‘পুরো ফলমণ্ডি বাজারের কোনো দোকানেই ব্যবসায়ীরা মূল্য তালিকা সংরক্ষণ করছেন না। ভ্রাম্যমান আদালত তাৎক্ষণিক ভাবেব্যবসায়ী-দোকান মালিক সমিতিকে প্রতিটি ফলের আড়তে মূল্য তালিকা প্রদর্শন নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতিতে ৩০ মিনিটের মধ্য সকল আড়তে মূল্য তালিকা টাঙ্গানো হয়