আমার বাংলা ডট টিভি ডেস্কঃ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, করোনা সংক্রমণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। লকডাউনে কর্মহীন হয়ে অনাহারে দিনযাপন করছে খেটে খাওয়া মানুষ। যার কারণে এসব মানুষের মনে করোনা ভীতির চেয়ে জীবন বাঁচানোকে বড় হিসাবে দেখছে। যার কারণে করোনা ভীতি উপেক্ষা মানুষ রাস্তায় নেমে আসছে।
বর্তমান সরকার গরীব অসহায় কর্মহীনদের মাঝে ঠিক মতো খাবার পৌছে দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে সাধারণ মানুষকে নিজ দায়িত্বে খাবারের খুজেঁ বের হতে হচ্ছে। এতে করে দিন দিন করোনা সংক্রিমত হওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে মৃত্যুও। কিন্তু এ নিয়ে সরকারের কোন মাথা ব্যাথা নেই। সরকারী দলের এমপি, মন্ত্রীরা নিরাপদে বাসায় বসে বসে ভিড়িও বার্তায় আদেশ দিয়ে যাচ্ছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করে তাদের রাস্তায় নামাচ্ছে। এ দূর্যোগে আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করছে না।
বিএনপি ও বিরোধী মতসহ যারাই সরকারের সমালোচনা করছে তাদের মামলা, গ্রেফতার করে নির্যাতন চালাচ্ছে। কারাগারে বিএনপিসহ নিরাপদ মানুষদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে বন্দি করে রেখেছে বছরের পর বছর। তাদের স্বাস্থ্য কি অবস্থা সরকার তার কোন খোঁজ খবরই রাখছে না। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে সাজানো মামলায় কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমরা অবিলম্বে আসলাম চৌধুরীসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা সাংবাদিক, কলামিষ্টসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বুধবার (১৩ মে) নগরীর ১৪ নং লালখান বাজার ওয়ার্ডে খুলশী থানা যুবদল আয়োজিত করোনা লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্থ গরীব অসহায়দের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
খুলশী থানা যুবদল নেতা জানে আলম বাঁচার পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবদুল হালিম (শাহ আলম), ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, লালখান বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. নাসিম চৌধুরী, খুলশী থানা বিএনপি নেতা ফারুক সিকদার, মহানগর যুবদলের মৎস্য ও পশু বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম, খুলশী থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন, ওয়ার্ড বিএনপির নেতা শহিদুল আলম মনা, খুলশী থানা ছাত্রদলের নেতা মো. রিপন, যুবদল নেতা মো. জুয়েল, মো. বাদশা, মো. তাজুল, মো. জামাল উদ্দীন, মো. ফারুক, মো. খোরশেদ, মো. সুজন প্রমুখ।