দিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনারকে তলব করে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর।
আমার বাংলা টিভি আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দিল্লির পাকিস্তান হাইকমিশন থেকে কর্মী সংকোচন করছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রায় ৫০% কর্মী কমানোর তাগিদও দিয়েছে। একইভাবে ইসলামাবাদের ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও কমানো হবে কর্মী। দিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনারকে তলব করে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর। আগামি সাত দিনের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। অন্যদিকে, রাশিয়ার স্বাধীনতা দিবস প্যারেডে যোগ দিলেও চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন না ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।
পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে ডেকে নিয়ে জয়শংকর বলেছেন, পাকিস্তানি কূটনীতিবিদরা ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছে। amarbangla.tv
জয়শংকর আরো বলেন, “পাকিস্তানের আচরণ ভিয়েনা চুক্তির পরিপন্থী। তাদের কূটনীতিবিদ ও কনসুলারদের তরফে দ্বিপাক্ষিক সহমতের লঙ্ঘন। পাশাপাশি সীমান্ত পারের সন্ত্রাসবাদ ও হিংসায় মদত দেওয়ার ইন্ধন।” amarbangla.tv
এদিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস এক প্রতিবেদনে বলেছে, মস্কোয় ভারত ও চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বৈঠক করবেন। তবে এ খবর প্রকাশের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খবরটি মিথ্যা ।
নেপালে এবার চীনের বিরুদ্ধে ৩৩ হেক্টর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে amarbangla.tv
নেপালি পত্রিকা হিমালয়ান টাইমস জানায়, নেপালে গোর্খা জেলার রুই গ্রাম সহ হোমা , রাগুরা ও সান্তুষা গ্রামের ৩৩ হেক্টও জমি নিজের দখলে নিয়ে নিয়ে নিয়েছে।
নেপালি বিরোধী দল কংগ্রেসের সহ সভাপতি বিমলেন্দু নিধী হিমালয়ান কে জানান, নেপালের কমিউনিস্ট সরকার তার দুর্নীতি ও ব্যার্থতা ঢাকতে হঠাৎ জাতীয়তাবাদী হয়ে উঠেছে । তারা মানুষের দৃষ্টি এসব থেকে সরানোর জন্য ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধে জরাচ্ছে। কিন্তু চায়নার জমি দখল নিয়ে কথা বলছে না। সংসদে এই বিষয়টি তদন্তের জন্য তিনি উপস্থাপন করবেন। amarbangla.tv
হিমালয়ান টাইমস চীনের দখলকরা এলাকা নিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, ১৯৬২ সালেও দখল করা এলাকা থেকে নেপাল রাজস্ব আদায় করেছে। নেপালের অনেক পরিবার এখনো দুই এলাকাতেই বসবাস করে।
কংগ্রেস নেতাদের উদ্বৃতি দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, করোনা পেন্ডামিক মোকাবেলায় চীনের সামরিক বাহিনীর লোকজন নেপালে কাজ করছে। কয়েক হাজার চীনা শিক্ষক নেপালি স্কুলগুলোতে চায়না ভাষা শিখাচ্ছে। এগুলোও চীনের আগ্রাসন। শেয়ার করুন।