করোনা পরিস্থিতিতে ডেলিভারি না হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে ভয়াবহ কনটেইনার জট তৈরি হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ করোনা পরিস্থিতিতে ডেলিভারি না হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে ভয়াবহ কনটেইনার জট তৈরি হয়েছে। মূলত লম্বা বন্ধে আমদানিকারকদের অনাগ্রহ আর পরিবহন সংকটে দৈনিক কনটেইনার ডেলিভারি কমেছে ৭৫ শতাংশ। ধারণ ক্ষমতার চাইতে ৭ হাজার বেশি কনটেইনার নিয়ে বিপাকে বন্দর কতৃপক্ষ।চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন কনটেইনার ইয়ার্ডে এখন ঠাঁই নেই অবস্থা। যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই কনটেইনারের স্তুপ।
২৬ মার্চ বন্ধ শুরু হবার পর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারের স্ত্তপ বাড়ছে। বন্দরে এখন আমদানি পণ্য রয়েছে ৪৪ হাজার কনটেইনার । যা কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতা ছাড়িয়ে গেছে। খালাস কমতে থাকায় এই অবস্থা তৈরী হয়েছে।
প্রতিদিন বন্দরে ১৫ হাজারের বেশি ট্রাক-কার্ভাড ভ্যান এবং কন্টেইনারবাহী লরি চলাচলের জায়গায় এখন চলছে দেড় থেকে দু’হাজার। বেশিরভাগ শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকায় কনেটেইনার ডেলিভারি নিচ্ছেন না আমদানিকারকরা।
মাঈনউদ্দিন, সভাপতি, প্রাইমমুভার চালক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি, মাঈনউদ্দিন আমার বাংলা ডট টিভিকে বলেন আমদানি করকরা মাল গুলো ডেলিভারি নিচ্ছে না। আমদানি কারকরা যদি মাল গুলো ডেলিভারি করে নিয়ে যায় তাহলে বন্দর সচল থাকবে। যদি এভাবে আরো দুই একদিন চলে তাহলে বন্দরের ভেতরের ডিপোর যে সব গাড়ীগুলো আছে এবং বাদ অপারেটর গাড়ি গুলো আছে সে গুলো চলাচল করা সম্ভব কম,কারণ জায়গায় তাকবে না।উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বন্দর কতৃপক্ষকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানান।
বন্দর-শিপিং স্ট্যান্ডিং কমিটির আহবায়ক মাহফুজুল হক শাহ আমার বাংলা ডট টিভিকে বলেন আগামী দুই- তিন দিন পর গিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের যে জায়গা গুলো আছে, কন্টেইনার রাখার জন্য সেটা কিন্তু পরিপূর্ণ হয়ে যাবে।এছাড়া আমাদের চিন্তা করতে হবে চট্টগ্রাম বন্দর কৃর্তপক্ষ,কাস্টম ও ব্যবসায়ী কমিটি এবং অন্য আন্য যে সকল প্রতিনিদি গণ আছে ওদের সাথে জরুরী বৈঠক করার মাধ্যমে কর্ম পরিকল্পনা নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন সময় নষ্ট না করে সবার সাথে বসে মতামত নিয়ে একটা পোগ্রাম হাতে নিতে হবে।সবার আন্তরিকতা নিয়ে যদি কাজ না করে তাহলে আরো জট বাড়তে থাকবে।করোনা ভাইরাসের বিশ্ব রেকর্ড করে যে মহাময়ী রূপ নিয়েছে সেটা কখন শেষ হয় আমরা কেউ জানি না।এদিকে ইয়ার্ডে কনটেইনারের স্তুপ উদ্বেগ বাড়চ্ছে বন্দরে। ইতোমধ্যে বন্ধের ভেতর কনটেইনার ডেলিভারিতে ফি মওকুফের ঘোষনা দিয়েছে বন্দর।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক আমার বাংলা ডট টিভিকে বলেন প্রতিদিন আমাদের প্রায় তিন হাজারো কাছাকাছি কন্টেইনার, জাহাজ থেকে নামানো হচ্ছে। তার সমপরিমাণ ডেলিভারি হচ্ছে না গত দুই – তিন দিন আমাদের ছয়-সাতশো মতো কন্টেইনার ডেলিভারি হয়েছে। সে কারণে আমাদের নর্মালি ত্রিশ-পয়ত্রিশ হাজারের মতো কন্টেইনার থাকার কথা সে খানে এখন তেতাল্লিশ হাজার কন্টেইনার আছে।আমরা এর মধ্যে বিভিন্ন ডিপোকে অনুরোধ করেছি তাদের কন্টেইনার গুলো দূরত্ব সময়ে ডেলিভারি করে নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিনিদিকে ও বলা হয়েছে নিয়ে যাওয়া জন্য।এছাড়াও চট্টগ্রাম বন্দরের অব্যন্তরে যে সকল খালি জায়গা আছে সে জায়গা গুলোকে আমদানি করা কন্টেইনার গুলো রাখার উপযোগী করা যায় কি-না আমরা কাজ করছি।
পরিস্থিতি সামাল দিতে কনটে্ইনার রাখার জন্য আইসিডিসহ নতুন জায়গার সন্ধান করছে বন্দর কতৃপক্ষ।