চট্টগ্রাম বন্দরের কঠিন সময়ে দায়িত্ব নিলেন আবুল কালাম আজাদ

দায়িত্ব গ্রহণ করছেন আবুল কালাম আজাদ  

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: করোনা পরিস্থিতির কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার ইয়ার্ডে ধারণক্ষমতার কাছাকাছি জমেছে কনটেইনার। এতে নতুন করে কনটেইনার রাখার জায়গা খুঁজতে হচ্ছে বন্দরকে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে জাহাজ ও কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ। ফলের বর্হিনোঙরের বাড়ছে পণ্যবাহী জাহাজের সারি।

এমন এক কঠিক সময়ে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন রিয়ার অ্যাডমিরাল শেখ মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। রোববার (১২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় নতুন চেয়ারম্যানের হাতে দায়িত্বভার হস্তান্তর করেন বিদায়ী রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ। এ সময় বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য, পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, শেখ মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বন্দরের ৪০তম চেয়ারম্যান। যিনি এর আগে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার সেখানে নতুন চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহানের কাছে দায়িত্বভার হস্তান্তর করেন। এদিকে বিদায়ী রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ ২০১২ সালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) পদে যোগ দেন। ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি তিনি এ বন্দরের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন চেয়ারম্যান দায়িত্বভার গ্রহণের পর তাকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আজ এগারাটায় চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন জেটি, বিশেষ বার্থ ও আউটারে মোট জাহাজ ছিল ১১৬টি। এরমধ্যে ৬০টি জাহাজ থেকে কার্গো ও কনটেইনার খালাস করা চলছিল। আর ৫৬টি জাহাজ থেকে কার্গো ও কনটেইনার খালাস হয়নি। একইদিকে বন্দর ইয়ার্ডে মোট কনটেইনার ছিল ৪৬ হাজার ১১৬ টিইইউএস। আর আমদানি ও রফতানিবাহী কনটেইনার হ্যাডেলিং হয়েছিল তিন হাজার ৬৩৯ টিইইউএস।

একই সময়ে বন্দর থেকে কনটেইনার ডেলিভারি হয়েছিল এক হাজার ১৪৮ টিইইউএস বা একক কনটেইনার। অপরদিকে পহেলা মার্চ দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত বন্দরের বিভিন্ন জেটি, বিশেষ বার্থ ও আউটারে মোট জাহাজ ছিল ৯৬টি। এরমধ্যে ৭১টি জাহাজ থেকে কার্গো ও কনটেইনার খালাস করা হয়েছিল। আর ২৬টি জাহাজ থেকে কার্গো ও কনটেইনার খালাস হয়নি। একইদিকে বন্দর ইয়ার্ডে মোট কনটেইনার ছিল ৪৪ হাজার ৯২৬ টিইইউএস। আর আমদানি ও রফতানিবাহী জাহাজে মোট কনটেইনার হ্যাডেলিং হয়েছিল ছয় হাজার ৩০৮টিইইউএস।