চট্টগ্রাম নাসিরাবাদ ওয়ার্ড যুবদলের শহীদ জিয়ার শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন

শহীদ জিয়ার শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন জিয়া পরিবার ও মহানগর যুবদলের সভাপতি দীপ্তি এবং মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে দেশবাসীর মুক্তিকামনা করে মোনাজাত করা হয়।

 

আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, আধুনিক বাংলাদেশের রুপকার, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বাংলার রাখাল রাজা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ২নং গেট হযরত শেখ ফরিদ (রহ) মাজার সংলগ্ন জামে মসজিদে খতমে কোরআন, মিলাদ ও দোয়া মাহাফিলের আয়োজন করে চট্টগ্রাম নাসিরাবাদ ৪২নং সাংগঠনিক ওয়ার্ড জাতীয়তাবাদী যুবদল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি মো. সাহাব উদ্দীন হাসান বাবু, প্রচার সম্পাদক জিল্লুর রহমান জুয়েল, সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সহ মৎস ও পশুপালন বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম খান, পাঁচলাইশ থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহেদ খান পারভেজ, যুগ্ম আহবায়ক এমামুল হক চৌধুরী কামাল, খুলশি থানা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মো. ইমরান,

পাচঁলাইশ থানা যুবদলের সদস্য মোহাম্মদ রফিক, ৪২নং নাসিরাবাদ সাংগঠনিক ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ মাসুদ আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মাদ বশর, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইউসুফ, সদস্য মোহাম্মদ বাদল, মোহাম্মদ রশিদ, মো. ইব্রাহিম, শরিফ, ইমরান, নুরুল হক, খোকন মোল্লা, রায়হান বাবু, মো. বেলাল উদ্দিন, রুবেল প্রমুখ।

সংক্ষিপ্ত জীবনি আলোচনায় বক্তারা বলেন, মহান নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো কিনা সন্দেহ। যিনি সেনাবাহিনীর একজন অফিসার হয়েও বিদ্রোহ ঘোষণা করে পরবর্তীতে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুধু তাই নয়, তিনি একজন সেক্টর কমাণ্ডার হয়ে জীবনবাজী রেখে সম্মূখ যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। মুক্তি সংগ্রামকে বেগবান করার প্রয়াসে জেড ফোর্সের অধিনায়ক হয়েছেন। স্বাধীনতা পরবর্তীতে দেশ গড়ার সংগ্রামে ব্যারাকে ফিরে যান। কিন্তু ৭৫ এর পট পরিবর্তনে দেশ যখন ষড়যন্ত্রের নির্মম শিকার ঠিক সে সময়ে সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যেমে বাংলাদেশের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন।

গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদের রাষ্ট্রপতি হিসেবে জনতার নিরঙ্কুশ রায় লাভ করেন। নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ড চালু করে দিয়ে তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথ উন্মুক্ত করে দেন। বন্ধ হয়ে যাওয়া সকল সংবাদপত্র খুলে দেয়া হয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে দেশকে খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ করে তুলেন। এক কথায় দেশপ্রেমিক জিয়ার চৌকস নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ সুখ শান্তিতে বসবাস করেছিলেন।

জনগণের ভোট দেয়ার অধিকারকে ক্ষুন্ন করে ক্ষমতায় চেপে বসা অবৈধ সরকারের গণতন্ত্রহীন পরিবেশে এই দেশের জনগণের মৌলিক অধিকার কখনো নিরাপদ নয়। দেশের মানুষের অধিকার আদায়, সুখ-শান্তি ফিরিয়ে আনতে হলে শহীদ জিয়ার আদর্শের বিকল্প নেই। শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়ন করতে জাতীয়তাবাদী যুবদল এর সৈনিকেরা জীবনবাজী রেখে হলেও এই অবৈধ সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণের সরকার কায়েম করবে।

পরে শহীদ জিয়া, আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফেরাত কামনা, বেগম জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমান ও মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তিসহ বিএনপি, যুবদলের অসুস্থ নেতা-কর্মিদের দ্রুত সুস্থতা এবং মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে দেশবাসীর মুক্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। শেয়ার করুন।