আজ সকালে চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসাপাতাল সংলংগ্ন বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ১৫০ এবং আগ্রাবাদস্থ সিটি কনভেনশন হলে ৫০০ শয্যা বিশিস্ট করোনা বিস্তার প্রতিরোধ মুলক চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তুতি কার্যক্রম পরির্দশন করছেন চ. সি. ক মেয়র আ. জ. ম নাছির উদ্দিন সহ অন্যরা।
আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সংক্রমণ যেহেতু পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেহেতু বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা হাসপাতাল বৃদ্ধির কথা ভাবছি। চট্রগ্রাম নগরীতে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের তুলনায় সরকারী ও বেসরকারী চিকিৎসা কেন্দ্র অপ্রতুল। তাই করোনা সংক্রমন বিস্তার প্রতিরোধে আরো চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন জরুরী হয়ে পড়েছে। এই বাস্তবতার প্রেক্ষিতে চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তদারকীতে আরো বেশি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন শুরু করেছে।
তিনি আজ সকালে চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসাপাতাল সংলংগ্ন বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ১৫০ এবং আগ্রাবাদস্থ সিটি কনভেনশন হলে ৫০০ শয্যা বিশিস্ট করোনা বিস্তার প্রতিরোধ মুলক চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তুতি কার্যক্রম পরির্দশন কালে এ কথা বলেন।
তিনি আরো ও বলেন, চট্রগ্রাম নগরীতে করোনা পরিস্তিতি ভায়াবহ আকার ধারনের আগেই সমন্বিত উদ্দেগে সুদৃঢ প্রতিরোধ কল্পে এখন যা আছে তার চেয়ে আরো বেশী চিকিৎসা কেন্দ্র স্হাপন করতে পারলে অবশ্যই পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনের মধ্যে থাকবে। এখনো পর্যন্ত কোন কার্যকর ভলকসীন ও প্রতিষেধক আবিস্কার না হওয়াই করোনা ভাইরাস সনাক্ত আক্রান্তদের কোয়ারেনটাইন, আইসোলেশন ও লাইফ সাপোর্টিং এর জন্য স্হাপিত চিকিৎসা কেন্দ্র গুলো পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রের মূল ভরসা এবং এ ধরনের চিকিৎসা কেন্দ্র বৃদ্ধি পাবে ততই পরিস্হিতির উন্নতি ঘটবে।
মেয়র নাছির বলেন, তাই এই লক্ষ্য পূরণে সমন্বিত উদ্দোগের কোন বিকল্প নেই।
এ সময় উপস্হিত ছিলেন চট্রগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এবি এম আজাদ চট্টগ্রাম এর সিভিল সার্জান ডা: সেখ ফজলে রাব্বি , বি এম এ চট্টগ্রামের সভাপতি ড: মুজিবুল হক ও মেয়র মহোদয়ের একান্ত সচিব মো: আবুল হাশেম।
এর আগে ২১ মে ২০২০ করোনা রোগীদের জন্য হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল চালু করেন।
করোনা রোগীদের সরকারী ব্যবস্থাপনায় ও সিটি মেয়রের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আবারো নতুন আঙ্গিকে চালু করা হলো নগরীর হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল। ২১ মে বৃহষ্পতিবার দুপুরে সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এই হাসপাতালের ১১টি আইসিও শয্যা সহ ১০০ শয্যা, সেন্ট্রাল অক্সিজেন, এসডিওসহ আনুসাঙ্গীক সব সুযোগ সুবিধা থাকবে। এটি জেনারেল হাসপাতালের কোভিড ইউনিট-২ হিসেবে এটি পরিচালিত হবে। রোষ্টার করে এখানে সরকারিভাবে চিকিৎসক, নার্স ও জনবল কাজ করবে। ইতোমধ্যে এখানে ২০ জন চিকিৎসককে পদায়ন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো বেশ কিছু ওয়ার্ডবয়, নার্স, স্টাফ নিয়োগ দেয়া হবে। চিকিৎসকরা ইতোমধ্যে তাদের কর্মস্থলে যোগদান করেছে। হাসপাতালটি একজন সহকারি পরিচালক বা তত্ত্বাবধায়কের অধীনে পরিচালিত হবে।শেয়ার করুন।