চট্টগ্রামে বিএনপি ১ লক্ষ ৩২ হাজার পরিবারকে ত্রাণ দিয়েছে ডাঃ শাহাদাত

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন।

 

আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর ২৫ মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত চট্টগ্রামে বিএনপির পক্ষ থেকে ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৩শ ২১টি অসহায় হতদরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন।

রবিবার (৫ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিএনপি বিগত ১৪ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে। এর উপরে সরকারের দমন, নিপীড়ন ও হামলা,মামলায় জর্জরিত নেতা কর্মীরা এখন নিঃস্ব প্রায়। তারপরও যে কোন দুর্যোগ মুহুর্তে জনগনের দল হিসিবে বিএনপি নেতা কর্মীরা মানুষের পাশে থাকে। করোনা কালে চট্টগ্রামের জোন ভিত্তিক ওয়ার্ড়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত আছে। অথচ চট্টগ্রামবাসী সরকারী দলের পক্ষ থেকে প্রত্যাশা করেছিল অনেক বেশী। কারণ চট্টগ্রাম হচ্ছে অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। কিন্তু সেই হিসেবে চট্টগ্রামের মানুষ কিছুই পায়নি। amarbangla.tv

সরকার চট্টগ্রামের প্রতি বিমাতাসূলভ আচরণ করেছে। চট্টগ্রামবাসীর পক্ষে আওয়ামীলীগ নেতাদের মাঠে দেখা যায়নি। চট্টগ্রামের বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন ও থোক বরাদ্ধ থেকে ৫০০ কোটি টাকা অনদানের বিষয়ে তাদের কোন বক্তব্য বিবৃতিও দেখা যায়নি। amarbangla.tv

তিনি বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকেই খাদ্যসামগ্রী, মাস্ক, হ্যান্ডস্যানিটাইজার ও গণসচেতনতামূলক লিপলেট বিতরন শুরু করা হয়। মানবিক কারনে মানুষকে সহায়তা করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী মারা গেছেন। অনেকেই আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আছেন। এখন বিএনপির ত্রাণ বিতরন নিয়ে কেউ যদি সমালোচনা করে সেটা হাস্যকর ব্যাপার। বরং যারা সমালোচনা করছে তারা এই দুঃসময়ে চট্টগ্রামের জন্য কিছুই করতে পারেনি।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে বাকলিয়া এলাকায় ১০০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারের কার্যক্রম চলছে। যা অচিরেই উদ্ভোধন করা হবে। তাছাড়া ৪১ ওয়ার্ড়ের মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে মেডিসিন ব্যাংক ও অক্সিজেন ব্যাংক চালু করা হচ্ছে। amarbangla.tv

তিনি মানুষের এই কঠিন দুঃসময়ে দলমত নির্বিশেষে দলীয় রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠে চট্টগ্রামে করোনার নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করে বিনামূল্যে নমুনা পরীক্ষা করার জন্য আহবান জানান। শেয়ার করুন।