স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ফাইল ছবি ।
আমার বাংলা টিভি ডেস্ক : এ বছর ঈদুল আযহা ঘিরে পশুর হাট গুলো যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে বসবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম । এবারে কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতা সহ সবার মাস্ক পরা বাধ্যতা মূলক করা হয়েছে বলে ও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) ঈদুল আজহা-২০২০ উপলক্ষে পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি ও দ্রুত বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিতকল্পে প্রস্তুতি পর্যালোচনা নিয়ে মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে এক অনলাইন সভায় এসব কথা বলেন তিনি। amarbangla.tv
সভায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসসহ দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়র ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারীর এই দুর্যোগ কালে এ বছর রাজধানী সহ সারাদেশের সব পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নির্দিষ্ট স্থানে পশুর হাট বসানো হবে । করোনা সংকটে ভিড় এড়াতে ঈদুল আজহার এক- দুই দিন আগে পশু কেনার বদলে হাতে সময় রেখেই সবাইকে পশু কিনতে পরামর্শ দেন মন্ত্রী । amarbangla.tv
মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, পশুর হাটে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সুশৃঙ্খল ভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে প্রবেশ ও বের হতে হবে । প্রতিটি পশুর হাটে আগত ক্রেতা- বিক্রেতাদের মাস্ক পরা বাধ্যতা মূলক করার পাশাপাশি হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা থাকবে। জীবাণুনাশকও স্প্রে করা হবে । amarbangla.tv
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, এছাড়া পশুর হাটগুলোতে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি যে কোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য প্রস্তুত থাকবেন । এ বছর যেহেতু ভিন্ন (করোনা ভাইরাস) এক প্রেক্ষাপটে কোরবানির ঈদ উদযাপন করতে হচ্ছে তাই মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে টেলিভিশন, রেডিওসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সচেতনতা মূলক প্রচার প্রচারণা চালানো হবে । এছাড়া অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পশু কোরবানির পরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের পশুর বর্জ্য অপসারণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে । শেয়ার করুন ।
