কোভিড-১৯ : ২৪ ঘণ্টায় আরো ৪২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৭৩৫, সুস্থ ৬৫৭

অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ সোমবার (৮ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি জানান, কোভিড-১৯ এ মোট মারা গেছেন ৯৩০ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৫০৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১৩ ৯৬১ জনের। নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১২৯৪৪ জনের। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার ৯৩১ জনের। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ১৩ শতাংশ।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৫৭ জন, মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪৫৬০ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ২৫ শতাংশ।

তিনি জানান, মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩৩, নারী ৯ জন। ঢাকা বিভাগে ২৫ জন, চট্টগ্রামে ৮, সিলেটের ১, রাজশাহী ১, খুলনা ২, রংপুর ১, বরিশাল ২ এবং ময়মনসিংহে ১ জন। বয়স ভিত্তিক বিশ্লেষণে ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৩ জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন।

ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, নমুনা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ১৩ শতাংশ, যাদের মধ্যে পুরুষ ৭১ শতাংশ এবং নারী ২৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। মৃত্যু বিবেচনায় পুরুষের হার ৭৭ শতাংশ এবং নারী ২৩ শতাংশ।

নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনের নেওয়া হয়েছে ২৯৭ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনের আছেন ১১ হাজার ৮৭১ জন। এছাড়া আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১৪৪ জন, এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন ৭ হাজার ৩১৯ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৭৭ হাজার ৫৫২ জন।

বরাবরের মতোই ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নিজের সুরক্ষা নিজের হাতে।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে দিনে দিনে এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। শেয়ার করুন।