অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ রোববার (১৪ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহা পরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, কোভিড-১৯ এ মোট মারা গেছেন ১১৭১ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭৫২০ জন। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২৭ জন এবং নারী ৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। বয়স ভিত্তিক বিশ্লেষণে ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২০জন বাসায় ১১ এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে গেছেন ১ জন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০টি পরীক্ষাগারে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৪৬৯০ জনের। আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪৫০৫ জনের। মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫ লাখ ১ হাজার ৪৬৫ জনের। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
তিনি জানান, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯০৩ জন, মোট সুস্থ হয়েছেন ১৮৭৩০ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ৪০ শতাংশ।
ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনের নেওয়া হয়েছে ৭১২ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনের আছেন ১৫ হাজার ২৮১ জন। এছাড়া আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৯৪ জন, এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন ৫ হাজার ৫২৩ জন। বর্তমানে মোট আইসোলেশনে আছেন ৯ হাজার ৭৫৮ জন।
এর আগে শনিবার কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছিল ২ হাজার ৮৫৬ জন, মারা যায় ৪৪ জন। তার আগের দিন শুক্রবার কোভিডে আক্রান্ত হয় ৩ হাজার ৪৭১ জন, মৃত্যু হয় ৪৬ জনের।
দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর গত ১৮ মার্চ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয় । এরপর থেকে দিনে দিনে এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। শেয়ার করুন।