অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ বুধবার (১৭ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, কোভিড-১৯ এ মোট মারা গেছেন ১৩০৫ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮৪৮৯ জন। মৃত্যুদের মধ্যে পুরুষ ২৮ জন এবং নারী ১৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ঢাকা বিভাগে ২১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন, সিলেট বিভাগে ১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন এবং রংপুর বিভাগে ১ জন মৃত্যুবরণ করেছে। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ২৭ জন, বাসায় ১৫ জন মারা গেছে এবং ১ জন হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এসেছে
তিনি জানান, মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে, ‘০ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১ জন, ১১ থেকে ২০ বছর ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর ৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর ৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর ৯ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর ১২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর ৯ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ২ জন মারা গেছে।
তিনি জানান, ৫৯টি ল্যাবে কোভিড শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৯২২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৭৫২৭ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো পাঁচ লাখ ৫১ হাজার ২৪৪ জনের। শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৯২৫ জন, মোট সুস্থ হয়েছেন ৩৮১৮৯ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৩৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৭১৮ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৬৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ১৭ হাজার ১৯৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ছয় হাজার ৪৪৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ৭৫২ জন। amarbangla.tv
নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন তিন হাজার ৪১ জন। একইসময় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ৯৭ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট তিন লাখ ২৯ হাজার ৮২০ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৬৭ হাজার ৩৩০ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬২ হাজার ৪৯০ জন।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে দিনে দিনে এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।
এদিকে পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্যমতে, প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সারাবিশ্বে ৮১ লাখ ২৮ হাজার ৫০০শ’র বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৫০০’র মতো মানুষের। অপরদিকে সেরে উঠেছেন প্রায় ৪২ লাখ ৪২ হাজার ৭৭০ জন। শেয়ার করুন।