কোভিড যুদ্ধে ৫০ চিকিৎসকের মৃত্যুর তিনটি কারণ চিহ্নিত করলেন তাদের সহকর্মীরা
আমার বাংলা টিভি ডেস্ক : বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) জানিয়েছে, ১ হাজার ৪০ জন চিকিৎসক, ৯০১ জন নার্স ও ১ হাজার ৩৬০ জন টেকনিশিয়ান আক্রান্ত হয়েছেন। কোভিড যুদ্ধে বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি চিকিৎসক মারা গেলেন। শুক্রবার নিউজ টোয়েন্টিফোরের ফ্ল্যাগশিপ শো জনতন্ত্র গণতন্ত্রে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
উপস্থাপক আনোয়ার সাদীর প্রশ্নের জবাবে ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটির চেয়ারম্যান ডা. আবুল হাসনাত মিল্টন বলেন, চিকিৎসক মৃত্যুর প্রথম কারণ নিম্নমানের পিপিই ও অন্যান্য সুরক্ষা সরঞ্জাম। দ্বিতীয় কারণ, পিপিই ব্যবহারের কার্যকর প্রশিক্ষন দেয়া হয়নি। পিপিই কীভাবে নিরাপদে খুলতে হয় ও পরতে হয় তা শেখানো হয়নি। আর তৃতীয় কারণ, চিকিৎসকদের অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে। ক্লান্তির কারণে নিজের নিরাপত্তার দিকে তারা নজর দিতে পারেন নি। বেশি ক্লান্ত হয়ে গেলে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দিকে নজর দেয়া যায় না। amarbangla.tv
অর্থনীতিবিদ ড. আশিকুর রহমান বলেছেন, আমরা জীবন ও বাঁচাতে পারছি না , জীবিকাও বাঁচাতে পারছি না। ভিয়েতনাম মাত্র দেড় মাসে করোনা ভাইরাস নির্মূল করেছে । ইতালি সাড়ে তিন মাসে, জার্মানি তিন মাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে এসছে । কঠিন লকডাউন, টেস্ট ,চিহ্নিত করা, এসব পদক্ষেপ নিয়ে তারা ভাইরাস কাবু করেছে । তিনমাসে আমরা দিশেহারা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কথা কেউ বিশ্বাস করে না। আক্রান্তের যে তথ্য দেওয়া হচ্ছে প্রকৃত সংখ্যা তারচেয়ে বেশি বলেও মনে করেন তিনি। amarbangla.tv
আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেছেন, এটা আমাদের দেশের ঐতিহ্য , সরকারি তথ্য কেউ বিশ্বাস করতে চায় না।
চট্টগ্রাম থেকে ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, সাহস ও আন্তরিকতা থাকলে এই সময়েও মানুষকে সেবা দেওয়া যায়। শেয়ার করুন।