অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ শুক্রবার (১৯ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, কোভিড-১৯ এ মোট মারা গেছেন ১৩৮৮ জন। মোটা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫ হাজার ৫৩৫ জন । মৃতদের পুরুষ ৩২ জন এবং নারী ১৩ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ। amarbangla.tv
তিনি জানান, ঢাকা বিভাগে ২১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন, বরিশাল বিভাগে ১ জন, সিলেট বিভাগে ১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ জন মৃত্যুবরণ করেছে। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ৩১ জন এবং বাসায় ১৪ জন মারা গেছে’, জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক। বয়স বিশ্লেষণে করে তিনি বলেন, ‘১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর ৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর ৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর ১০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর ৯ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর ১১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর ৪ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৩ জন মারা গেছে।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৩২৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৫০৪৫ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো পাঁচ লাখ ৮২ হাজার ৫৪৮ জনের। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৭৮১ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৪২৯৪৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৬৯ শতাংশ। amarbangla.tv
অধ্যাপক নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৬৮৪ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ১৮ হাজার ৫৫৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ৪৪৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৩৬ জন। এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৭ হাজার ১৮১ জন।
আপনার সুস্থতা আপনার হাতে উল্লেখ করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়।
দেশে নভেল করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। শেয়ার করুন।