করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে কারফিউ দিতে হবে: ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ

করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে কারফিউ দিতে হবে: ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ। 

আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত এ চিকিৎসক বলেন, প্রয়োজনে লকডাউন মানার জন্য সেনাবাহিনী নামাতে হবে। জনগণ সচেতন না হলে প্রশাসনের একার পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব নয়। আবার বাস্তবতার কারণেও অনেকে লকডাউন মানতে পারছেন না।

সরকারের সামনে দুটি প্রশ্ন। একদিকে জীবন অন্যদিকে জীবিকা। জীবনও বাঁচাতে হবে। জীবিকা নিয়েও ভাবতে হবে। দুটির মধ্যেই ভারসাম্য জরুরি।

তিনি বলেন, আমাদের মূল সমস্যা জনসংখ্যা বেশি, ছোট দেশ। সমন্বয়ের অভাব রয়েছে, একেক সময় একেক কথা বলা হচ্ছে। কোনোপক্ষকেই দোষারোপ না করে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজগুলো এগিয়ে নিতে হবে। amarbangla.tv

বড় বড় হাসপাতালে কোন সিট খালি নেই। আইসিইউ খালি নেই। রোগী বেড়েই যাচ্ছে। যদি এভাবে রোগী বাড়তেই থাকে তাহলে তো আমরা বিশাল ঝুঁকির মধ্যেই পড়ে যাবো। শহরের পাশাপাশি এখন গ্রামেও রোগী বাড়ছে। এসব রোগী হাসপাতালে এলেই চিকিৎসা পাবেন এর নিশ্চয়তা তো কেউ দিতে পারছেন না।

পরীক্ষা আরো বাড়াতে হবে। প্রতিটি জেলায় জেলায় এ পরীক্ষা শুরু করা দরকার। তাহলে প্রকৃত চিত্র বোঝা সম্ভব হবে। প্রায় ২৫ ভাগের আবার কোনো লক্ষণ নেই এটি আরো বিপজ্জনক। তাদের পরীক্ষা করা জরুরি। কারণ, তারা নিজেদের রোগী না ভেবে চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। amarbangla.tv

তিনি বলেন, প্রশাসনের দুর্বলতা আর জনগণের শৈথিল্যতা সবমিলিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে দেশ।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ ও মহাসচিব ডা. আব্দুস সালাম বলেন, কোভিড সংশ্লিষ্ট গবেষণাকর্মী এবং বিশ্লেষকরা যখন কঠোর লকডাউন এবং প্রয়োজনে কারফিউ জারির পরামর্শ দিচ্ছেন তখন সরকার সবকিছু চালু করার ঘোষণা দিয়েছে- যা আত্মহননের শামিল।

তারা আশঙ্কা করেন, সরকারের এই হঠকারী সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। সীমিত সম্পদ ও ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে এ ভয়াবহতা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। amarbangla.tv

তারা বলেন, করোনা বাংলাদেশকে আক্রমণ করার পর থেকেই সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রতিটি পদক্ষেপে সচেতন করার চেষ্টা করেছে ড্যাব। সঠিক পথে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সমন্বয়হীনতার প্রেক্ষিতে দেশে কোভিড মোকাবিলায় ধারাবাহিক ব্যর্থতা প্রদর্শন করেছে ।

প্রতিদিন বাংলাদেশে রেকর্ডসংখ্যক রোগী সনাক্ত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে। এরপরও লকডাউন শিথিলে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির প্রেক্ষিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। দ্রুত সরকারের এই সিদ্ধান্ত পূর্নবিবেচনার আহ্বান জানান তারা। নাহলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে আমাদের সময়। শেয়ার করুন।